শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৩ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

অবশেষে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানোর প্রস্তাব

বিদ্যুৎ ,ফাইল ছবি

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

এবার বিদ্যুতের পাইকারি দাম প্রতি ইউনিটে ৫০ পয়সা (৮.০৩ শতাংশ) বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। পাইকারিতে বাড়লে গ্রাহক পর্যায়েও ৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হতে পারে। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
অর্থনীতিবিদ ও খাত-সংশ্নিষ্টরা বলছেন, এভাবে লাগাতার গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় সাধারণ মানুষ, উদ্যোক্তা কারও জন্যই সুখকর নয়। এতে সবার খরচ বাড়বে, উৎপাদন কমবে। যা অর্থনীতির জন্য শুভ হবে না।
সর্বশেষ গত ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৯.৯২ শতাংশ বাড়ায় এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। এ সময় ইউনিটপ্রতি গড় পাইকারি দাম দাঁড়ায় ৬ টাকা ২০ পয়সা। পিডিবির প্রস্তাব অনুসারে দাম বাড়লে প্রতি ইউনিটের দর হবে ৬ টাকা ৭০ পয়সা।
গত ১২ জানুয়ারি নির্বাহী আদেশে খুচরা পর্যায়ে ৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। এর পর ১৮ জানুয়ারি নির্বাহী আদেশেই গ্যাসের দাম বাড়ে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহূত গ্যাসের দাম এক লাফে ১৭৯ শতাংশ বাড়ানো হয়। এতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৫ টাকা ২ পয়সা থেকে বেড়ে হয় ১৪ টাকা।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ম তামিম বলেন, বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়ায় ভোক্তা ও উদ্যোক্তাদের খরচ বেড়েছে, তবে তা ছিল সহনীয়। তবে গ্যাসের দাম বাড়ার মাত্রা ছিল ভয়াবহ। শিল্প খাত এই দাম বাড়ার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। এর মধ্যে আবার বিদ্যুতের দাম বাড়লে তা খরচ আরেক দফা বাড়িয়ে দেবে।

বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো পিডিবির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, ডলারের অবমূল্যায়ন এবং ফার্নেস অয়েলের শুল্ক্ক সুবিধা প্রত্যাহার করায় পিডিবির উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। ২০২১-২২ অর্থবছরে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের সরবরাহ খরচ ছিল ৯ টাকা ৪৪ পয়সা। এই অর্থবছর তা বেড়ে হয়েছে ১১ টাকা ৫৪ পয়সা। ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি ধরে গত নভেম্বরে দাম বাড়ার পর পাইকারি বিদ্যুতের বিক্রয়মূল্য এখন ৬ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ প্রতি ইউনিটে পিডিবির লোকসান হচ্ছে ৫ টাকা ৩৪ পয়সা। এর মধ্যে গ্যাসের দর ১৭৯ শতাংশ বাড়ায় বছরে পিডিবির ১০ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা খরচ বাড়বে। ফলে এ খাতে বাড়বে সরকারের ভর্তুকিও। ভর্তুকি কমাতে পিডিবি প্রতি ইউনিটে পাইকারি দর গড়ে ৫০ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।
কোন কোম্পানির কত দাম :প্রস্তাব অনুযায়ী, পিডিবির চার বিতরণ অঞ্চল- পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) এবং নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানিকে (নেসকো) বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতে হবে।

বিতরণ কোম্পানিগুলোর ২৩০ কেভি (কিলোভোল্ট) লাইনে প্রতি ইউনিটের পাইকারি দাম ৭.৬০৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮.১০৪০ টাকা এবং ১৩২ কেভিতে ৭.৬৩৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮.১৩৩৫ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে পিডিবি। ৩৩ কেভি লাইনে পিডিবির বিতরণ অঞ্চলের দাম ৬.৭৮৯৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭.২৮৯৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ৩৩ কেভিতে আরইবির জন্য ৫.৩৯২৫ টাকা থেকে ৫.৮৯২ টাকা, ডিপিডিসির জন্য ৭.৭২ টাকা থেকে ৮.২২ টাকা, ডেসকোর ৭.৭৪৮০ টাকা থেকে ৮.২৪৮০ টাকা, ওজোপাডিকোর ৬.৬২৭৫ টাকা থেকে ৭.১২৭৫ টাকা এবং নেসকোর ৬.২০৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬.৭০৫০ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

গ্রাহক পর্যায়েও বাড়বে দাম :সূত্র বলছে, পাইকারি দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের খুচরা দর ৫ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা আসবে। তবে এজন্য বিতরণ কোম্পানিগুলোকে কোনো প্রস্তাব দিতে হবে না। সর্বশেষ ৫ শতাংশ দাম বাড়ার ফলে বিতরণ কোম্পানিগুলোর আয় বাড়ে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION