বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি দেলোয়ার হোসেন দেলু গ্রেফতার নৌকা তল্লাশি করে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ নৌকা জব্দ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানালেন প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামের জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন বাঘা শরীফ দুর্নীতি: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে চুক্তি ১৪ লাখ টাকায়, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৫ দুই মেধাবী শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে ঘিরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ , অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা চুয়েট যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী দৌলতদিয়ায় শুটিং করাটা জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা আরও ৩ দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি কক্সবাজার থেকে বিজিপির ২৮৮ সদস্যকে মিয়ানমারে ফেরত

‘যে কারণে জঙ্গি সংগঠন গুলোর পছন্দ পাহাড়ি অঞ্চল’

আবদুল আজিজ:
তথাকথিত জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির কারণে পার্বত্য অঞ্চল সহ পাহাড়ি এলাকাকে বেঁচে নিচ্ছে জঙ্গি সংগঠন গুলো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অব্যাহত অভিযানের কারণে পাহাড়কে নিরাপদ মনে করছেন তারা।

সোমবার সকাল ১০টারদিকে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় এক প্রেসব্রিফিংয়ে র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।

খন্দকার আল মঈন বলেন, গত আগস্টে কুমিল্লা ৮ জন তরুণ হিজরতের নামে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে চলে যান। তখন তাদের খোঁজে বের করতে গিয়ে একটি নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র খোঁজ পান র‍্যাব। এরপর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ অক্টোবর পার্বত্য বান্দারবনে অভিযান চালিয়ে ওই জঙ্গি সংগঠনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়। মুলত: তাদের তথ্যের ভিত্তিতে এই সংগঠনের ৪৮ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

এদিন ভোর সকাল থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত চলমান অভিযানে কক্সবাজারে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় প্রথমে জঙ্গিদের সঙ্গে র‍্যাবের গোলাগুলি হয়। এরপর নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সামরিক শাখার প্রধান ও শুরা সদস্য মাসিকুর রহমান মাসুদ ওরফে রনবীর ও তার সহযোগি বোমা বিশেষজ্ঞ আবু বাশারকে গ্রেপ্তার করেন। এসময় বিদেশি ১টি, দেশীয় ২টি অস্ত্র, ৩টি ম্যাগজিন, ১১২ রাউন্ড গুলি ও নগদ আড়াই লাখাধিক টাকা উদ্ধার করেছে।

র‍্যাবের খন্দাকার আল মঈন জানিয়েছেন, র‌্যাবের ধারাবাহিক অভিযানে গোয়েন্দা তথ্য ছিল নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সামরিক শাখার প্রধান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মগোপনে রয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে কুতুপালং ৭ নম্বর ক্যাম্পের এ বøকে অভিযান শুরু করে। অভিযানে র‌্যাবের অবস্থান বুঝতে পেরে জঙ্গিরা পাশের পাহাড়ে চলে যায়। র‌্যাব ওখানে অভিযান শুরু করলে সশস্ত্র লোকজন র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা সহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

খন্দাকার আল মঈন জানান, ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সামরিক শাখার প্রধান ও শুরা সদস্য মাসিকুর রহমান মাসুদ ওরফে রনবীরের নেতৃত্বে তরুণদের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। এর ভিত্তিতে পার্বত্য এলাকাও অভিযান হয়েছে। এ পর্যন্ত এ সংগঠণটির ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা সক্ষম হয়েছে। সামরিক শাখার প্রধান সহ এবার গ্রেপ্তার ২ জনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, নতুন জঙ্গি সংগঠণের সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কেন এল, তাদের সাথে রোহিঙ্গার যোগসূত্র কি তা বের করতে কাজ করছে র‌্যাব।

খন্দাকার আল মঈন আরও জানান, এী আগে ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসাবে গত ২১ অক্টোবর গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে রাঙামাটি বিলাইছড়ি থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারকৃত ৭ আসামির মধ্যে নব্য জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সামরিক শাখার উপ-প্রধান সৈয়দ মারুফ আহমেদ মানিক ছিলেন। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিলাইছড়ি থানায় রুজুকৃত মামলার তদন্তকারী অফিসার বিজ্ঞ আদালতে ৫ জন আসামীর রিমান্ড আবেদন করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত সংগঠনটির সামরিক শাখার উপ-প্রধান সৈয়দ মারুফ আহমেদ ওরফে মানিক সহ ৫ আসামির ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সৈয়দ মারুফ আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদে সংগঠনটির সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান @রনবীর @মাসুদ এর বিভিন্ন কার্যক্রম এবং সম্ভাব্য অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।

উল্লেখ্য যে, র‌্যাব কর্তৃক প্রকাশিত পাহাড়ে প্রশিক্ষণরত ৫৫ জনের তালিকায় গ্রেফতারকৃত আবুল বাশার এর নাম রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ আবুল বাশার জানায় যে, গত ৩ অক্টোবর র‌্যাব এবং অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর যৌথ অভিযান শুরু হওয়ার পর আবুল বাশার ৫৫ জনের দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পাহাড় থেকে পালিয়ে সিলেট গমন করে এবং সামরিক শাখার প্রধান রনবীরের নিকট আশ্রয় গ্রহন করেন। তারা দুইজন বেশ কিছুদিন পূর্বে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মগোপন করেন।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION