ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
জন্মগ্রহণের পরপরই সুস্থ একটি শিশুর শরীরের ৭৫ ভাগ ফ্লুইড বা তরল থাকে। বাচ্চা যতো বড় হতে থাকে, শরীরের ফ্লুইড ততোটা কমতে থাকে। পাঁচ বছর বা তার বেশি বয়সী শিশুদের শরীরে ফ্লুইড ৬০ ভাগ বা তারও নিচে নেমে আসে। ফলে শিশুর শরীরের জন্য পানি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
পরিমিত পানি পানের অভাবে বাড়ন্ত শিশুর শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি অপরিমিত পানি পানে অভ্যস্ত কিশোর বয়সীরা মনস্তাত্ত্বিক সমস্যায়ও ভুগতে শুরু করে। কোমল ত্বক রুক্ষ হয়ে ওঠে। মেজাজ খিটখিটে এবং মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে।
তবে শিশুকে অতিরিক্ত পানি পান করানোও অনেক সময় বিপদ ডেকে আনতে পারে। এজন্য দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পর চিকিৎসকরা বয়স ও লিঙ্গ অনুযায়ী শিশুদের পানি পান করানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
খাওয়া শুরু আগে পানি পান উপকারী
চলুন জেনে নিই বয়স অনুযায়ী আপনার শিশুর দিনে কতটুকু পানি পান করানো উচিত:
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. প্রবীর ভৌমিক জানান- প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে দুই লিটার পানি পান করার কথা সকলেই জানি। তবে শিশুদের ঠিক কতটুকু পানি পান করানো আদর্শ, সেটা নিয়ে ৬ মাস বয়সী শিশু থেকে থেকে ১৭ বছর বয়সী ১০০ জন শিশুকে পর্যবেক্ষণ করেছে তার নেতৃত্বাধীন গবেষণা টিম।
পর্যবেক্ষণের পরই তারা নিম্নোক্ত পরামর্শ দিয়েছেন:
- ৪-৮ বছরের ছেলে ও মেয়ে উভয় লিঙ্গের বাচ্চাকে দিনে ১ দশমিক ১ লিটার থেকে ১ দশমিক ৩ লিটার পানি পান করাতে হবে।
- ৯-১৭ বছর বয়সী মেয়েদের দিনে ১ দশমিক ৩ থেকে ১ দশমিক ৫ লিটার পর্যন্ত পানি পান করা প্রয়োজন।
- ৯-১৭ বছর বয়সী ছেলেদের প্রয়োজন দিনে ১ দশমিক ৫ থেকে ১ দশমিক ৭ লিটার পর্যন্ত পানি।
বয়স অনুযায়ী পানি পানের এই নিয়মটি একই রকম আবহাওয়া হওয়ায় ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলোর জন্য কেবল প্রযোজ্য হবে বলছেন গবেষক দল।
ঘরের বাইরে গেলেও শিশুর জন্য বোতলে পানি রাখুন
ডা. প্রবীর ভৌমক আরও বলছেন, বাচ্চারা একবারে বেশি পানি খেতে পারে না। তাই অল্প অল্প করে ঘন ঘন খাওয়ানো উচিত। কোথাও যাওয়ার আগে, খাবার খাওয়া শুরু করার আগে পানি খাওয়ান। বাইরে কোথাও গেলে বাবা ও মায়েরা সঙ্গে পানির বোতল রাখুন।সূত্র: বার্তা২৪।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.