ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুরান ঢাকার (ঢাকা-৭) সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে তার দেহরক্ষীসহ হেফাজতে নিয়েছে র্যাব। সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে হাজী সেলিমের বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ। এর আগে সোমবার দুপুর ১টার দিকে পুরান ঢাকায় হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, ‘অভিযানে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন, র্যাবের একটি গোয়েন্দা টিম রয়েছে। এছাড়া র্যাব-৩ ও ১০ এর সদস্যরা রয়েছেন।’
র্যাব সবসময় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সদস্যরা এখনও কাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ঘটনা প্রবাহের ভিত্তিতেই এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।’
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের কারণে এ অভিযান চালানো হলো কিনা−জানতে চাইলে তিনি সরাসরি কোনও উত্তর দেননি।
পুরান ঢাকায় হাজী সেলিমের বাসায় র্যাবের অভিযান
প্রসঙ্গত, রবিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর কলাবাগানে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে হাজী সেলিমের ছেলে ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে আজ সোমবার ভোরে তাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
ওয়াসিফ আহমদ এজাহারে অভিযোগ করেন, রবিবার (২৫ অক্টোবর) নীলক্ষেত থেকে বই কিনে মোটরসাইকেলে করে তিনি মোহাম্মদপুরের বাসায় ফিরছিলেন। সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে তার মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি গাড়ি। ওয়াসিফ আহমদ মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়িটির গ্লাসে নক করে নিজের পরিচয় দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার কারণ জানতে চান। তখন এক ব্যক্তি বের হয়ে তাকে গালিগালাজ করে। তারা গাড়ি নিয়ে কলাবাগানের দিকে যায়। মোটরসাইকেল নিয়ে ওয়াসিফ আহমদও তাদের পেছনে পেছনে যান। কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডে গাড়িটি থামলে ওয়াসিফ তার মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান। তখন তিন-চার জন লোক গাড়ি থেকে নেমে বলতে থাকে, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবিহিনী বাইর করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বাইর করতেছি। তোকে আজ মেরেই ফেলবো’−এই কথা বলে তাকে কিলঘুষি দিতে থাকে। পরে ট্রাফিক পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে এবং হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পথচারীরা এই দৃশ্য ভিডিও করেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ধানমন্ডি থানা পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়। সূত্র:বাংলাট্রিবিউন।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.