ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
তিন বছর পর যৌথ নদী কমিশনের সদস্য পর্যায়ের বৈঠক শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি)। দুই দিনব্যাপী এই ভার্চুয়াল বৈঠকে গঙ্গার পানি চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ছয়টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।
১০টি জেলায় নদীর তীর প্রতিরক্ষার কাজ, গঙ্গা-পদ্মা ব্যারাজ নির্মাণের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি, রহিমপুর খাল খনন, তিতাস নদীর পানি দূষণ, বন্যা পূর্বাভাস স্টেশন বৃদ্ধি, মহানন্দা নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুদিনের বৈঠকে আলোচনা করতে চায় বাংলাদেশ। অপরদিকে আত্রাই, পূনর্ভবা ও ট্যাংগন নদীর পানি কমে যাওয়া, ফেনী নদীর ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি উত্তোলন এবং মাথাভাঙা-চূর্ণী নদীর পানি দূষণ নিয়ে কথা বলতে চায় ভারত।
এ বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও যৌথ নদী কমিশনের একাধিক সূত্র জানায়, অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা জমে রয়েছে। আগামী মার্চে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের আগে হয়তো আরও আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘২০১৯ সালের আগস্টে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ছয়টি অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহ সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদানের সিদ্ধান্ত হয় এবং এটি সম্পাদন করা হয়েছে।’
গোমতি, ধরলা, দুধকুমার, মুহুরি, খোয়াই ও মনু নদীর পানি প্রবাহের ১৯৯৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ২২ বছরের তথ্য আদান-প্রদান করা হয়েছে এবং পানি বণ্টনের জন্য একটি কাঠামো চুক্তি নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চাই বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ওই ছয়টি নদী নিয়ে ১৯৯৭ সাল থেকে দুই দেশ আলোচনা করছে। বিভিন্ন সময়ে নদী প্রবাহের তথ্য-উপাত্ত একে অপরকে সরবরাহ করেছে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে ছয়টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই নেতাই এ বিষয়ে দ্রুত দর কষাকষি শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন।
আরেকজন কর্মকর্তা জানান, এছাড়া ১০ জেলায় ১৫টি অভিন্ন নদীর তীর বা পাড় সংরক্ষণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ। এর একটি তালিকা ও তথ্য ভারতকে দেওয়া হবে।
বন্যা পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে ভারত তথ্য সরবরাহ করে থাকে বাংলাদেশকে এবং এই পূর্বাভাস স্টেশনের সংখ্যা বৃদ্ধি করার একটি প্রস্তাব দিতে পারে বাংলাদেশ বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ভারত সীমান্ত থেকে দুই কিলোমিটার দূরে একটি ব্যারাজ নির্মাণ করার কারণে মহানন্দা নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়েও বাংলাদেশ আলোচনা করতে আগ্রহী। সূত্র:বাংলাট্রিবিউন।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.