বিবিসি :
বরিশালের বাবুগঞ্জে বৌভাতের অনুষ্ঠানে খাবারে মাংস কম দেয়ার অভিযোগ থেকে বিতর্ক শুরু, বাকবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতি ও লাঠালাঠি, শেষ পর্যন্ত পাত্রের একজন অভিভাবকের মৃত্যুতে শেষ হয় বিতণ্ডা।
মারামারি শেষে কনে এবং কনের বাবাসহ মোট ২২ জনকে পুলিশ সোপর্দ করা হয়। এদের মধ্য থেকে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত আজহার মীর বরের চাচা এবং একমাত্র অভিভাবক বলে জানা যাচ্ছে। তবে এখনো এ ঘটনায় মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাসরিন জাহান।
তিনি জানান, এ নিয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। রাতেই মৃতদেহের সুরতহাল হয়েছে। আজ ময়নাতদন্ত হবে। "যেহেতু এখনো দুই পরিবারে শোকের অবস্থা তাই হয়ত আজ তারা মামলা দায়ের করবেন", বিবিসিকে বলেন মিজ জাহান। পুলিশ বলছে, বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নে দক্ষিণ রফিয়াদি গ্রামে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই ঘটনাপ্রবাহের শুরু হয়।
চাঁদপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সবুজ খান বিবিসিকে বলেছেন, বিয়ের অনুষ্ঠানটি হয় গত রবিবার। মঙ্গলবার ছিল পাত্রের বাড়িতে বৌভাতের অনুষ্ঠান।দুপুরের এই অনুষ্ঠানে খাবার টেবিলে কনেপক্ষের অতিথিরা অভিযোগ তোলেন তাদের মাংস কম দেয়া হয়েছে।
এ নিয়ে তর্কাতর্কি বেঁধে যায় কনেপক্ষর অভ্যাগত ও বরপক্ষের লোকজনের মধ্যে। তর্ক রূপ নেয় হাতাহাতিতে, সেটা পরিণত হয় সংঘর্ষে।
এক পর্যায়ে প্লাস্টিকের চেয়ার এবং বাঁশ দিয়ে দুপক্ষের লোকজন পরস্পরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, বলছিলেন মি. খান। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বরের চাচা আজহার মীর থামাতে গেলে তিনিও হামলার শিকার হন। এতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাকে পাশের বাজারে চিকিৎসকের কাছে নেয়ার পর তিনি মারা যান। মি. খান বলেছেন, বিকেলে তাকে খবর দেয়ার পর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন কনে পক্ষের ২২ জনকে বরপক্ষের লোকেরা আটকে রেখেছে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর তাদেরকে কনেসহ পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এএসপি নাসরিন জাহান বলছেন, এদের মধ্যে নয় জনকে আজ সকালে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকীরা নারী ও শিশু হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ছাড়া পেয়ে নববধূ পিত্রালয়ে চলে গেছেন। আর বর রয়েছেন তার বাড়িতে। স্পষ্টতই এখন এই নবদম্পতি একটি সম্ভাব্য হত্যা মামলার বাদি ও বিবাদী পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়তে যাচ্ছেন। বর নিজে পেশায় অটোচালক। তার ভাই সুমন মীর বিবিসিকে বলেন, নিহত আজহার মীর তাদের পরিবারের প্রধান অভিভাবক ছিলেন।
সুমন মীর বলছেন, এই ঘটনার পর থেকে তার ভাই শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এ নিয়ে বক্তব্যের জন্য কনেপক্ষের কারো সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.