আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রে জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের টিকা অনুমোদন পাওয়ার পর দেশটির গণমাধ্যমগুলো স্বস্তির খবরে ছেয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমস-সহ একাধিক মিডিয়ার খবরে টিকাটিকে ‘সুড়ঙ্গের শেষে আলোর রেখার’ সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
কয়েক মাস ধরে বিশ্ববাসী ফাইজার এবং অক্সফোর্ডের টিকায় বুঁদ। দুটি টিকাই দুই ডোজ করে নিতে হচ্ছে। এতদিন জনসন অ্যান্ড জনসনের ডেটার বিস্তারিত আসেনি বলে খুব একটা আলোচনা হয়নি।
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে সিএনএন শনিবার লিখেছে, ‘জনসনের টিকাকে অনেকে নিম্নমানের বলছে। এই মূল্যায়ন ঠিক নয়। মারাত্মক রোগটির বিরুদ্ধে এটি খুবই কার্যকরী।’
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ভ্যাকসিনটির একটি মাত্র ডোজ ৪ সপ্তাহের মধ্যে বৈশ্বিকভাবে ৬৬ শতাংশ কার্যকরী। শুধু যুক্তরাষ্ট্রে এর কার্যকারিতা ৭২ শতাংশ দেখা গেছে।
সিএনএন লিখেছে, করোনার তীব্রতা বাড়লে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা ৮৬ শতাংশও পাওয়া গেছে। এই বিষয়টিকেই ইতিবাচক বলছেন বিশেষজ্ঞরা।কোনো জনগোষ্ঠী থেকে মহামারী দূর করতে কার্যকারিতার এই পরিমাণকে ‘যথেষ্ট’ বলে থাকেন বিজ্ঞানীরা।
অক্সফোর্ডের টিকার মতো জনসনের টিকাও ফ্রিজ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যাবে।এই টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
ফাইজার, অক্সফোর্ড ও মডার্নার টিকার ক্ষেত্রে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা বলা হচ্ছে। প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের টিকার স্থানে ব্যথা, ফোলা বা লাল হওয়া, মাংসপেশি বা অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, জ্বর, শীতল অনুভূতি, মাথাব্যথা ও ক্লান্তি দেখা দিচ্ছে। তবে বিজ্ঞানীরা বারবার বলছেন, এগুলো গুরুতর কিছু নয়। টিকা নেয়ার পর বিভিন্ন দেশে যারা মারা গেছেন, তারা অন্য সমস্যায় মারা গেছেন।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.