ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বল্প পরিসরে পাসপোর্ট অফিসগুলোতে কাজ চলছে। সাধারণ মানুষ যাতে ভোগান্তির শিকার না হয় সেজন্য বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর থেকে সারাদেশের পাসপোর্ট অফিসগুলোকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে লকডাউন শুরুর পর পাসপোর্ট অফিসগুলোতে মানুষের চাপও কম ছিল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
পাসপোর্ট অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ২৩ মার্চ থেকে নতুন পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ ও বিতরণের সব ধরনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এরপর ওই বছরের ৩১ মে থেকে সীমিত আকারে অফিস কার্যক্রম চালুর পর শুধু রি-ইস্যু পাসপোর্ট বিতরণ শুরু করে তারা। পরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার পর অন্যান্য অফিসের মতো পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম চলতে থাকে।
একবছর পর করোনা পরিস্থিতি অবনতি হলে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে আবারও শর্তসাপেক্ষে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। জরুরি সেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস অর্ধেক জনবল দিয়ে পরিচালনা করারও একটি শর্ত রয়েছে। যেহেতু পাসপোর্ট অধিদফতর জরুরি সেবার বাইরে সেজন্য সরকারের লকডাউনের সেই শর্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক জনবল দিয়ে পাসপোর্ট অফিসগুলোতেও স্বল্প পরিসরে কাজ চলছে। কারণ, পাসপোর্টের আবেদনকারীকে পাশে নিয়ে আঙুলের ছাপ ও ছবি তুলতে হয়। এটা করতে গিয়ে দায়িত্বরত যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। সেজন্যই এখন সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জরুরি পাসপোর্টের কাজ করা হচ্ছে।
কিভাবে কাজ চলছে জানতে চাইলে বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আবজাউল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, প্রধান অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বল্প পরিসরে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কোনও সমস্যা হচ্ছে না।
একই বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. সাহজাহান কবির বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, তারাও অর্ধেক জনবল দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। লকডাউনের কারণে মানুষ এসে ফিরে যাচ্ছেন এমনটাও নয়। তুলনামূলক কাজের চাপও কম। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার কারণেও হতে পারে।
লকডাউনের মধ্যে পাসপোর্ট অফিসগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সরকারের নির্দেশনা যেটা দেওয়া হয়েছে সে অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশের অফিসগুলোতে স্বল্প পরিসরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। আগারগাঁওয়ে সাত-আটজনকে দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পাসপোর্ট জরুরি সেবার আওতায় পড়েনি। কিন্তু মানুষের কথা চিন্তা করে স্বল্প পরিসরে কাজ চালানো হচ্ছে। কারণ, অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। বিদেশ যেতে হবে। এমন জরুরিগুলোই করা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে আদেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। সুত্র:বাংলাট্রিবিউন।
ভয়েস/ জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.