ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রামে সংক্রমিত করোনার নমুনায় যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ধরণ পেয়েছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) একদল গবেষক। তবে ভারতীয় কোন ধরন পাওয়া যায়নি চট্টগ্রামের নমুনায়। ১০টি নমুনার ৬টিতেই যুক্তরাজ্য ও তিনটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন পাওয়া গেছে৷
সিভাসুর অধ্যাপক ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদীপ দাশ, ডা. প্রাণেশ দত্ত, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম ও ডা. তানভীর আহমদ নিজামী এই গবেষণা পরিচালনা করেন।
সিভাসু থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মূল্যায়ন করে এ গবেষণা কার্যক্রম চালানো হয়েছে। গবেষণার অংশ হিসেবে SARS-CoV-2 বা নোভেল করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকুয়েন্স বা জীবন রহস্য উন্মোচন করার জন্য ১০টি নমুনা পাঠানো হয় বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসাআইআর), ঢাকায়। এরপর বিসিএসআইআর-এর দুইজন গবেষক ড. মো. সেলিম খান ও ড. মো. মোরশেদ হাসান সরকার এ গবেষণায় যোগ দেন। তবে গবেষণাটি মূলত চট্টগ্রামকেন্দ্রিক করা হয়েছে।
সেই ফলাফলে দেখা যায়, দশটি নমুনার মধ্যে ছয়টিতে করোনাভাইরাসের যুক্তরাজ্যের ধরনের (B.1.1.7) উপস্থিতি রয়েছে এবং তিনটিতে দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন (B.1.351) রয়েছে। তবে যে ধরন (B.1.617) বর্তমানে ভারতে চিহ্নিত হয়েছে, তার উপস্থিতি নেই। বিভিন্ন বয়সের আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে নমুনাগুলো সংগ্রহ করা হয়। ওই আক্রান্ত রোগীদের পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
১০টি নমুনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৫ এপ্রিলের আগেই যুক্তরাজ্যের ধরনের উপস্থিতি থেকে থাকতে পারে। একই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকান ধরনও ছিল। তবে আরও বেশি নমুনা থেকে ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স করলে প্রকৃত চিত্রটি স্পষ্ট হত। এছাড়া এই ১০টি নমুনার জিনোম সিকুয়েন্সের তথ্য পাবলিক ডাটাবেজ GISAID-এ জমা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, দুই দেশের সঙ্গে করোনার ধরণ মিলেছে। তবে ভারতের সঙ্গে মিলেনি। ভারতের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যাতে তাদের দেশ থেকে বাংলাদেশে এ ধরনের ভাইরাস প্রবেশ না করে।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে চট্টগ্রামে করোনায় প্রাণ গেছে ১৩৬ জনের। আর শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ২৮৯ জন। যা চট্টগ্রামে গত ১৩ মাসের আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড ভেঙেছে।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.