ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
ঈদকে সামনে রেখে অন্তত অর্ধ ডজন পণ্যের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি, বোতলজাত সয়াবিন, চিনি, প্যাকেট ময়দা, রসুন, জিরা, দারুচিনিসহ মসলার দাম বেড়েছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, আর এক সপ্তাহ পরেই ঈদুল ফিতর। এই ঈদকে সামনে রেখেই মুনাফাখোররা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি’র হিসাবেও মসলা জাতীয় পণ্যের দাম বাড়ার কথা বলা হয়েছে।
রাজধানীর মানিক নগর এলাকার বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া কামাল বলেন, রোজার শুরু হওয়ার পর যেসব পণ্যের দাম কমে এসেছিল, ঈদকে সামনে রেখে সেই সব পণ্যের দাম ফের বাড়ানো হয়েছে। রসুন, জিরা, দারুচিনিসহ প্রায় সব মসলার দাম বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। বোতলজাত সয়াবিনের দাম বেড়েছে লিটারে ২-৩ থেকে টাকা। পামওয়েল সুপারের দাম বেড়েছে লিটারে ২ টাকা। রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। জিরার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা, দারুচিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা, চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ২ টাকা, প্যাকেট ময়দার বেড়েছে কেজিতে ২ টাকা। অবশ্য বাজারে নতুন করে আর বাড়েনি চাল, ডিম, আলু ও শুকনো মরিচের দাম। টিসিবি’র তথ্য মতে গত সপ্তাহের তুলনায় চালের দাম কমেছে এক থেকে দুই টাকা। কমার তালিকায় আরও রয়েছে শুকনো মরিচ, ডিম, আলু ও পেঁয়াজ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোটা, চিকন ও মাঝারি মানের চালের দাম অতি সামান্য পরিমাণ কমেছে। গত সপ্তাহের ৫৭ টাকা কেজি চাল এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। বাজারে এক লিটারের বোতল সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৬ টাকায়। অবশ্য মানিক নগর এলাকার ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী এক লিটারের বোতল ১৪০ টাকা করে বিক্রি করছেন। ১২০-১২২ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া পাম সুপারের দাম বেড়ে ১২৫-১২৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা
অঞ্চল ও বাজার ভেদে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে লেয়ার মুরগির। গত সপ্তাহে ২০০-২২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৩৫ টাকা। তবে আগের মতো ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে সোনালী মুরগি।
এছাড়া ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে আগের মতোই ২৮ থেকে ৩০ টাকা।
চিনি দামও বাড়তি
খোলা ও প্যাকেট উভয় ধরনের চিনির দামও বেড়েছে। খোলা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৭৬ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৭২-৭৪ টাকা। আর ৭৫ টাকায় বিক্রি হাওয়া প্যাকেট চিনির দাম বেড়ে ৭৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। বেগুনের কেজি ৪০-৬০ টাকা, মানভেদে শসার কেজি ৩০-৪০ টাকা, পটল ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৪০-৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০-৪০ টাকা, ঝিঙে ৪০-৫০ টাকা, লাউ ৬০-৭০ টাকা, পাকা টমেটো ৩০-৪০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০-৪০ টাকা, কাঁকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। সূত্র:বাংলাট্রিবিউন।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.