স্বাস্থ্য ডেস্ক:
প্রস্রাব চেপে রাখার ফলে অন্তত পাঁচটি রোগ মানুষের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে এক নজরে দেখে নিন, প্রস্রাব চেপে রাখার ফলে কোন কোন সমস্যার বিষয়ে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা-
দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাব চেপে রাখার ফলে ইউরিন ইনফেকশন ও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে কারণে একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দিনে অন্তত ৪ থেকে ১০ বার মূত্রত্যাগ করা উচিত। কিন্তু অনেকেই অলসতার কারণে প্রস্রাবের চাপ ধরে রাখেন। অনেক মানুষ গাড়ি, অফিস কিংবা বাসায় প্রস্রাবের চাপ অনুভব করার পরেও তারা টয়লেটে যেতে চান না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কখনোই প্রস্রাবের চাপ ধরে রাখা ঠিক নয়। কারণ এতে মূত্রথলির নানা রকমের জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে।
১. মূত্রথলির পেশী দূর্বল হতে পারে-
দিনের বড় একটি সময় যদি কেউ প্রস্রাব চেপে রাখেন, তাহলে মূত্রথলির পেশী দূর্বল হতে থাকে। তাছাড়া প্রস্রাব চেপে রাখলে মূত্রথলি স্বাভাবিকভাবে কাজ নাও করতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যখনই প্রস্রাবের চাপ আসে তখনই সেটি সেরে ফেলা জরুরি।
২. ইউরিয়া এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের মতো টক্সিক পদার্থ-
প্রস্রাবে ইউরিয়া এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের মতো টক্সিক পদার্থ থাকে। বেশিক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখলে এই বিষাক্ত পদার্থগুলি কিডনিতে পৌঁছে কিডনি স্টোনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩. মূত্রথলির সংক্রমণ হতে পারে-
কোনো ব্যক্তি যদি নিয়মিত প্রস্রাব চেপে রাখেন তাহলে তিনি মূত্রথলির সংক্রমণ কিংবা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনে আক্রান্ত হতে পারেন। এতে কিডনি ও মূত্রথলির রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায়।
৪. মূত্রথলিতে ব্যাকটেরিয়া বাড়ে-
প্রস্রাবের চাপ ধরে রাখার জন্য মূত্রথলিতে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায়। শরীরের জন্য ক্ষতিকর পানি যদি কেউ বের হতে না দেন তাহলে অনেক দিন ধরে মূত্রথলিতে ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হতে থাকে। আর শরীরে ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হওয়া ভালো কোনো লক্ষণ নয়।
৫. মূত্রথলির প্রসারণ ক্ষমতাও নষ্ট হতে পারে-
নিয়মিত প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখার কারণে মূত্রথলির প্রসারণ ক্ষমতাও নষ্ট হতে পারে। ফলে মূত্রথলি প্রসারিত হয়ে আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায় না।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.