ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা ভালো দিয়েছি বলে মানুষের চাকরি আছে, (অর্থনীতির) গ্রোথ আছে, জীবন রক্ষা পাচ্ছে। রেমিট্যান্স আমরা ভালো পাচ্ছি স্বাস্থ্যসেবার কারণে। আজকে স্বাস্থ্য সেবা ভেঙে পড়লে পুরো দেশ ভেঙে পড়তো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসেবাকে এতো গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, এটা একটা কারণ। স্বাস্থ্যসেবা ভালো থাকলে অন্যান্য জিনিসগুলো ভালো থাকে।
শনিবার (২৪ জুলাই) ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ, অক্সিজেন সংকট, হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা ও শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি’ শীর্ষক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) সদস্য ভুক্ত প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় দেশের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সমালোচনাকারীদের সমালোচনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজকে শুধু আইসিইউ পাওয়া যায় না, স্বাস্থ্যসেবা দেয় না, চিকিৎসক-নার্সরা সেবা দেয় না- এগুলো নিয়ে সমালোচনা হয়। তারা তো (চিকিৎসক-নার্স) করোনার ভেতরেই আছেন দেড় বছর। করোনার মধ্যেই জীবনযাপন করছেন তারা। তারপরও সেবা দিচ্ছে বলে সমালোচনা করছে। যারা সমালোচনা করে তারা কবে হাসপাতালে গেছেন- তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জাহিদা মালেক।
নিরাপদ জায়গায় থেকে টেলিভিশনে সমালোচনা করা সহজ মন্তব্য করে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা তো কখনও বলেন না- অমুক নদী যে দূষিত হয়ে গেল, নদী শেষ হয়ে যাচ্ছে, কেমিক্যাল ডাম্প করছে, খাবারে কেমিক্যাল মেশাচ্ছে; কই, এই কথাগুলো তো আপনাদের কাছ থেকে শুনি না। প্লাস্টিক ডাম্প করে নদী, নালা, খাল ব্লক হয়ে যাচ্ছে, আমাদের দেশের লোককে প্রতারিত করে ইউরোপে নেওয়ার পথে সাগরে ডুবিয়ে মারা হচ্ছে- কেউ তো সেগুলো নিয়ে কথা বলে না। অনেকে ট্যাক্স দেয় না, বিদ্যুৎ বিল দেয় না এগুলা নিয়েও কেউ আওয়াজ তোলেন না। অথচ যারা স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধেই অনেক কথা হচ্ছে- খুবই আফসোসের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, এখন আমি মনে করি মানুষ বুঝছে, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেবা ভালো দিয়েছে বলেই অর্থনীতি ঠিক আছে, জিডিপি গ্রোথ ঠিক আছে। যেহেতু স্বাস্থ্য সেবা দিয়েছি দেশ চলতে পারছে। মৃত্যু এখনও অন্যান্য দেশের তুলনায় কম আছে। আমরা একটি মৃত্যুও চাই না। অন্যান্য দেশে ৫-৭ লাখ মারা গেছে। ভারতে ৬ লাখ মানুষ মারা গেছে। এই মৃত্যু আমাদের দেশে রোধ হয়েছে ভালো স্বাস্থ্য সেবার কারণে।
সভায় আরও যুক্ত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশিদ আলম, ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিপিএমসিএ সভাপতি এম এ মুবিন খানসহ দেশের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ভয়েস/ জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.