নৌকার প্রার্থী আবদুল মাবুদ বলেন, নির্বাচনের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের নিয়ম থাকলেও উক্ত ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ধোয়াপালং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরুষ ও মহিলা কেন্দ্রে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত লাইনে কোন ভোটার ছিল না। এরপরও সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রশাসনের সহযোগিতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল হকের সমর্থকেরা দলে দলে এসে লাইন ছাড়াই কেন্দ্রে প্রবেশ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকে জাল ভোট প্রদান করে। এসময় নৌকার এজেন্টনা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মারধরের হুমকি দিয়ে জিম্মি করে রাখা হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীর স্বপক্ষে থাকা ডামি প্রার্থী ঘোড়া, অটোরিক্সা, টেলিফোনসহ কয়েকটা প্রার্থীর এজেন্টরাও চশমার পক্ষে যোগ দিয়ে জাল ভোট প্রদানে সহযোগিতা করে। এত অনিয়মের পরও চশমা প্রতীকের লোকজন উক্ত কেন্দ্রে ১৫০১ ভোট ও নৌকা ৬২৭ ভোট প্রাপ্ত হয়। এতে চশমার প্রার্থী আবদুল হক নিশ্চিত পরাজয় দেখে ও শতাধিক লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে কেন্দ্রের বাইরে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে আতংক সৃষ্টি করে প্রার্থী নিজে ও তার সাথে বিএনপি নেতা শাহেদুজ্জামান বাহাদুরসহ প্রিসাইডিং অফিসারের রুমে প্রবেশ করে। এসময় জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে নৌকার এজেন্টদের নিকট খালি রেজাল্ট শীটে স্বাক্ষর আদায় করে এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। পরে প্রিসাইডিং অফিসারের নিকট চেয়ারম্যান মেম্বার, মহিলা মেম্বারের ১০০ করে ব্যালট নিয়ে চশমা প্রতীকের প্রার্থী ও তার সহযোগিরা সীল দিতে থাকে। এতে নৌকার কর্মী সমর্থকেরা বাধা দিলে চশমার সমর্থকেরা তাদের উপর হামলা চালায়। এতে অন্তত: ১৫/২০ জন লাঠির আঘাতে নৌকার কর্মী-সমর্থক আহত হয়। নৌকার প্রার্থী সেখানে গেলে তার গাড়িও ভাংচুর করা হয়। এজেন্টদের বের করে দেয়ায় ও দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় ছবি ধারণ করা সম্ভব হয়নি। ভোট গননার সময় নিয়ম বহির্ভূতভাবে চশমা প্রতীকের প্রার্থী ও তার সমর্থকদের প্রিসাইডিং অফিসারের রুমে প্রবেশ ও ব্যালটে সীল দেয়ার বিষয়টি কয়েক দফায় রামুর ইউএনও, রামু থানার ওসিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিজে ফোনে জানান। তারা এক ঘন্টারও বেশি সময় পর কেন্দ্রে আসেন। ইতোমধ্যে নৌকার কর্মী-সমর্থকেরা ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের ধোয়াপালং রাস্তার মাথা ও ধেছুয়াপালং স্টেশনে ব্যারিকেট দেয়।প্রশাসন বিলম্বে কেন্দ্রে পৌঁছায় ততক্ষনে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের নিকট থেকে ১৫০১ ভোটের স্কুলে ১৬০১ ভোট দেখিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর আদায় করা হয়। বিলম্বে ইউএনও ও ওসি কেন্দ্রে পৌঁছলে তখন ৫ শতাধিক লোক কেন্দ্রে হাঙ্গামায় লিপ্ত হলে নৌকার প্রার্থী আবদুল মাবুদ উক্ত কেন্দ্রের ফলাফল ও নির্বাচন স্থগিত করার দাবী জানান। ইউএনও দেখছি বলে কেন্দ্রে প্রবেশ করলেও নৌকার প্রার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এক পর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে আমি (আবদুল মাবুদ নৌকার প্রার্থী) নিজেই পুলিশ ভ্যানে আশ্রয় নিই। পরে হিমছড়ি ফাঁড়ির আইসি মিজানুর রহমান রাত পৌণে ১২টার দিকে আমাকে ধোয়াপালং রাস্তার মাথায় নামিয়ে দেয়। ইউএনওকে এরপর ফোন দিলেও তিনি ফোনে কোন কথা বলব না বলে কেটে দেন। রিটার্নিং অফিসারকে বারবার কল দেয়ার পরও তিনি রিসিভ করেননি। অথচ খুনিয়াপালং ইউনিয়ন থেকে রামু উপজেলা পরিষদে পৌঁছার আগেই চশমা প্রার্থীকে ৪৮ ভোটে বিজয়ী দেখিয়ে রেজাল্ট শীট সামাজিক যোগাযোগ ছড়িয়ে দেয়া হয়।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.