ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
মিয়ানমারের সংবিধানে রোহিঙ্গাদের জাতি হিসেবে স্বীকৃতি এবং তাদের নাগরিকত্ব ও সম্মানের সঙ্গে বসবাস করার অধিকার দেওয়ার বিষয়ে সোচ্চার রয়েছে গাম্বিয়া। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে জাস্টিস ফর দ্যা রোহিঙ্গা শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারেও এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন গাম্বিয়ার সলিসিটর জেনারেল হোসেন থমাসি। তিনি বলেন, গাম্বিয়া ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে মামলা করেছে বিশ্বকে জানাতে যে, রোহিঙ্গাদের অত্যাচারের বিষয়ে তারা চুপ থাকতে পারে না।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানো হচ্ছে, গণধর্ষণ হচ্ছে, তাদের বাচ্চাদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে এবং তাদের ওপর এই অত্যাচার চালানো হচ্ছে শুধু ভিন্ন একটি জাতি এবং ভিন্ন একটি ধর্মাবলম্বী হওয়ার কারণে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ এর ১১ নভেম্বর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে মামলা করে গাম্বিয়া এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো হয়েছে বলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের সহযোগিতায় গাম্বিয়া এই মামলা করেছে জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে অন্তবর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছিলে কোর্টের কাছ থেকে যাতে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ করে।
২০২০ এর ২৩ জানুয়ারি কোর্ট সর্বসম্মতক্রমে মিয়ানমারকে নির্দেশ দেয় সবধরনের গণহত্যা ও নির্যাতন বন্ধ করার জন্য।
গণহত্যার সবধরনের আলামত যেন নষ্ট না হয় সে বিষয়ে মিয়ানমারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং কোর্টের নির্দেশে মিয়ানমার এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে চারটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
কোর্টের নির্দেশ যাতে পালিত হয় সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জানিয়ে তিনি বলেন, মামলা হওয়ার পরে কানাডা ও নেদারল্যান্ড আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে এবং পরবর্তী সময়ে মামলায় যোগ দেয়। এছাড়া পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে যুক্তরাজ্য খুব শিগগিরই আমাদের সঙ্গে মামলা পরিচালনায় যুক্ত হবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী গাম্বিয়া তাদের সমগ্র যুক্তিতর্ক ২৩ অক্টোবর কোর্টের কাছে জমা দিয়েছে এবং এর বিপরীতে মিয়ানমার ২০২১ এর ২০ জানুয়ারি চারটি পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে একটি আপত্তি দাখিল করে।
তিনি বলেন, যে চারটি পয়েন্টের উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো এর আগেও উপস্থাপন করেছিল মিয়ানমার এবং প্রতিটি পয়েন্ট অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের মাধ্যমে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।
মিয়ানমারের এই আপত্তির ফলে কোর্টের রায় পেতে কিছুটা দেরি হবে এবং আমরা ওই আপত্তি সংক্রান্ত হিয়ারিং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.