ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
উত্তরের জনপদ দিনাজপুরে টানা তিন দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। একইসঙ্গে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বইছে হিমেল হাওয়া, কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে চারপাশ। এতে নাকাল অবস্থায় মানুষের জীবন। যদিও তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, আজ (৩০ জানুয়ারি ২০২২) দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩-৪ কিলোমিটার। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বাতায় ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার গতিতে ধাবিত হতে পারে।
এর আগে গত দুইদিন জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার ভাষায় যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
এছাড়াও জেলার পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৭ দশমিক ৫ ; তেতুলিয়ায় ৬ দশমিক ৮; সৈয়দপুর ৮ দশমিক ২; রংপুরে ৯ দশমিক ৫; ডিমলায় ৮ দশমিক ৯; নওগাঁ ৮ দশমিক ৫; রাজশাহীতে ৮ দশমিক ৬; চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৬ ও শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে টানা তিন দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করায় নাকাল হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। লোকজন খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। ঘরে ফিরছে সন্ধ্যা গড়ার সঙ্গে সঙ্গে। তবে আজ সকালে প্রচণ্ড কুয়াশা থাকলেও সকাল ৯ টার পর উঠেছে সূর্য, তবে প্রখরতা ছিল কম।
রাজবাটী এলাকার বাঁধন সরকার বলেন, শীতের কারণে খুব খারাপ অবস্থা। কাজকাম ভালো লাগে না। হাত-পা জড়ো হয়ে আসছে।
তামুলীপাড়া এলাকার মিহির কুমার রায় বলেন, সকাল সকাল কাজে যাওয়ার অভ্যাস। কিন্তু এই শীতে অবস্থা খারাপ। অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে গেছে। কয়েকদিন ধরেই প্রচণ্ড শীত, আর ভালো লাগে না।
দফতরের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। তবে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে, ফলে শৈত্যপ্রবাহটি থাকবে না।
ভয়েস/ জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.