ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
১৯৬৯ সালে নাইজিরিয়াতে প্রথম দেখা দেয় এই লাসসা জ্বর (Lassa Fever)। দুজন মিশনারি নার্সের মৃত্যুতে ধরা পড়ে ইদুর থেকে আসা এই ভাইরাস। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়েছিল এই জ্বর। সেবার থেমে গেলেও প্রায় ১৩ বছর পরে এটি ফিরে এসেছে ইংল্যান্ডে। তিন জন সংক্রামিতের মধ্যে একজন প্রাণ হারিয়েছেন ইতিমধ্যেই। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ব্রিটেনে একটি নবজাতক শিশু এই জ্বরে মারা গেছে।
লাসসা জ্বর-এ সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। আফ্রিকার বেশ কিছু দেশেও এই রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে অনেকের মধ্যেই ভয় দেখা দিয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তার মধ্যে নতুন একটি অসুখের আশঙ্কা নিঃসন্দেহে অনেককেই উদ্বিগ্ন করেছে। মূলত ইঁদুর থেকেই এক সময়ে ছড়িয়ে ছিল এই জ্বর।
আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও এক-দুজন মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। যদিও তারা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরেছিলেন। তাদের মাধ্যমে রোগটি ভারতে এসে পড়ে থাকতে পারে বলে অনুমান। কিন্তু ছড়িয়ে পড়ে বা বাড়াবাড়ি হওয়ার মতো কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
এই জ্বরের ভাইরাসে আক্রান্ত হলে হালকা জ্বর, ক্লান্তি, মাথাধরার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদিও তার কোনোটাই খুব বেশি মারাত্মক হয়ে ওঠে না। তার কথায়, ‘২০ শতাংশ সংক্রমিতের ক্ষেত্রে এটি অল্প জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। বমি, পেটের গন্ডগোল, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হতে পারে। তবে খুব বিরল ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে’।
অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া থেকে শুরু করে নানা ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করতে হয় প্রয়োজনে। তবে অনেকেই ওষুধ ছাড়াই রোগটি সারিয়ে ফেলেন।
এই রোগ থেকে বাঁচতে খাবার এমন জায়গায় রাখুন, যেখানে ইঁদুর মুখ দিতে পারবে না। কারও লালসা জ্বর-এর সংক্রমণ হয়ে থাকলে, তার থেকে দূরে থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন। এবং ন্যূনতম সমস্যা হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আনুমানিক ১ লাখ থেকে ৩ লাখ মানুষ প্রতি বছর লালসা জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং এই রোগে প্রায় ৫হাজার জন মারা যায়। ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার পর উপসর্গ দেখা দিতে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। প্রায় ৮০% ক্ষেত্রে, অসুস্থতার লক্ষণগুলো অস্তিত্বহীন বা হালকা এবং মাথাব্যথা, সামান্য পেশি দুর্বলতা এবং কম জ্বর থাকতে পারে। সংক্রমণ গুরুতর হলে বমি, শ্বাসকষ্ট, রক্তক্ষরণ, স্নায়বিক সমস্যা এবং অঙ্গ বিকল হতে পারে। তবে, লাসসা জ্বরে মৃত্যু হার মাত্র ১%।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.