ভয়েস ডেস্ক:
ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে টানা দুদিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে রাজধানীর নিউমার্কেটের বেশিরভাগ দোকানপাট। ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে বেচাকেনায়।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে নিউমার্কেট এলাকায় দেখা গেছে, ভোরে সিদ্ধান্ত আসার পরই সকালে অনেক ব্যবসায়ী দোকান খুলেছেন। কেউ কেউ খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে গত দুই দিন ধরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়িক সমিতিসহ বিভিন্ন দোকানিরা।
বুধবার ভোরে রাজধানীর সাইন্সল্যাবে অবস্থিত বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে বিপণিবিতান খোলার সিদ্ধান্ত নেন।
বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বেচাকেনা টুকটাক চলছে। ক্রেতারাও প্রয়োজনীয় জিনিস কিনছেন মার্কেটসহ ফুটপাতগুলো থেকে। নিউমার্কেট ফুটওভার ব্রিজের নিচে ব্যাগ বিক্রেতা মো. সিয়াম জাগো নিউজকে বলেন, দোকান খুলেছি। কাস্টমারও আসছে। বিকেলে কেমন লোকজন আসে তা দেখে বোঝা যাবে বিক্রি আজ কেমন হবে। তবে আমরা আশা করছি আর কোনো সমস্যা না হলে বেচাকেনা বাড়বে।
জুতা বিক্রেতা মো. শান্ত জাগো নিউজকে বলেন, বেচাকেনা শুরু হয়েছে। ঈদ বাজারে বিক্রি বেশি হবে এটাই আমাদের আশা। আজকে দোকান খুললাম। বিক্রি কিছু হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে বড় বোন বৃষ্টি আক্তারের সঙ্গে আসা শ্রাবণ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, মারামারির জন্য আগে আসতে পারিনি। আজ শুনলাম ঝামেলা শেষ হয়েছে তাই ঈদের কেনাকাটা করতে আসলাম। কাপড় ও জুতা কিনেছি। আরও কিছু কেনাকাটা করে বাসায় চলে যাবো।
মিরপুর থেকে আসা নিহাল নাহিয়ান বলেন, নিজের কিছু কাজ ছিল। সেটা সেরে শপিংয়ে ঢুকলাম। চশমা কিনবো ভাবছি তাই বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখছি।
এদিকে ভোরে দোকান খোলার ঘোষণার পর প্রায় সব দোকানই খুলেছে দোকান মালিকেরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় নিউমার্কেট এলাকায় যানচলাচলও স্বাভাবিক হয়েছে। নীলক্ষেত থেকে সায়েন্সল্যাব ও সায়েন্সল্যাব থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত উভয় রাস্তায়ই যান চলাচল করছে।
এদিকে নিউমার্কেটের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দোকান কর্মচারী মো. মুরসালিন (২৪)। এর আগে মঙ্গলবার রাতে নাহিদ (১৮) নামে এক কুরিয়ার সার্ভিস কর্মীর ঢামেক হাসপাতালে মারা যান।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকানকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ।
এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর ফের দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। দিনভর সংঘর্ষের পর সন্ধ্যায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। সংঘর্ষের তৃতীয় দিন বুধবার সারাদিন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করলেও সন্ধ্যার পর আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
তিনদিনের সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়ে ঢামেকসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ পুলিশের অনেক সদস্য আহত হয়েছেন।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.