ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
বউয়ের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় মাকে রাস্তার পাশের একটি পরিত্যক্ত জঙ্গলে ফেলে গেছেন এক ছেলে। শুক্রবার (০২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বালিগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল হাকিম। তিনি ওই বৃদ্ধার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।
বৃদ্ধার বাড়ি জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়নের চৈতন্যপুর-নাককাটিতলা গ্রামে। তিনি মৃত সইবুর রহমানের মেয়ে মর্জিনা বেগম (৮২)। মর্জিনা বেগম তিন মেয়ে ও দুই ছেলে সন্তানের মা।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রানা, আবুল কাশেম, প্রত্যক্ষদর্শী ও মর্জিনা বেগমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বালিগ্রাম মহল্লার একটি পরিত্যক্ত জায়গায় স্থানীয়রা এক বৃদ্ধা নারীকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তারা সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল হাকিমকে জানান। পরে বৃদ্ধার খোঁজ-খবর নিয়ে স্থানীয় যুবকদের সহযোগিতা নিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়।
জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল হাকিম বলেন, সকালে স্থানীয় কয়েকজন যুবক আমার কাছে আসেন। বলেন জঙ্গলে এক বৃদ্ধা পড়ে আছেন। পরে তাদের নিয়ে গিয়ে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে একই এলাকায় তার এক মেয়ের বাড়িতে রেখে আসি। তার সব চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি। নিজ খরচে তাকে চিকিৎসা প্রদান করে সুস্থ করে তুলব, ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, একজন ছেলে কীভাবে তার মাকে ফেলে যেতে পারে, বিষয়টি ভেবে অবাক হয়েছি। অত্যন্ত অমানবিক কাজ করেছে তার ছেলে ও ছেলের বউ। বৃদ্ধার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। বৃদ্ধার চিকিৎসার পাশাপাশি ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়েছি বলেও জানান তিনি।
বৃদ্ধা মর্জিনা বেগম ও তার মেয়ে জানান, ফেলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মর্জিনা বেগম ছোট ছেলে মনিরুল ইসলামের বাড়িতে ছিলেন। শুক্রবার সকালে ছোট বোনের বাড়ির পাশে একটি জঙ্গলে মাকে ফেলে পালিয়ে যায় ছেলে মনিরুল ইসলাম। ছেলের বউয়ের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বউয়ের কথায় মাকে ফেলে যাওয়া হয় বলে জানান বৃদ্ধা মর্জিনা বেগম।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.