মাওলানা আবদুল জাব্বার:
হাদিস শরিফে অনেক খাবারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেগুলোকে ঔষধি গুণসম্পন্ন বলেছেন। এর দুটি হলো
জমজমের পানি
জমজমের পানি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পানি। পবিত্র জমজম নিয়ে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বহু হাদিস রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) কর্র্তৃক বর্ণিত। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পানি হলো জমজমের পানি। তাতে রয়েছে তৃপ্তির খাদ্য ও ব্যাধির আরোগ্য।’ আল মুজামুল আউসাত : ৩৯১২
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) জমজমের পানি ভীষণ পছন্দ করতেন। বেশির ভাগ সময় তিনি জমজমের পানি পান করার চেষ্টা করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি জমজমের পানি সঙ্গে করে নিয়ে আসতেন, আর বলতেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) তা বহন করে আনতেন। জামে তিরমিজি : ৯৬৩
মহান আল্লাহ এই পানিতে এতটাই বরকত রেখেছেন যে কেউ (আল্লাহর ওপর পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে) কোনো উপকার লাভের আশায় এই পানি পান করলে মহান আল্লাহ তার আশা পূরণ করেন। হজরত জাবির বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, জমজমের পানি যে উপকার লাভের আশায় পান করা হবে, তা অর্জিত হবে। ইবনে মাজাহ : ৩০৬২
মধু
মধুর ঔষধি গুণ সবারই কমবেশি জানা। মহান আল্লাহ মধুর মধ্যে বহু রোগের আরোগ্য রেখেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তার (মৌমাছির) পেট থেকে নির্গত হয় বিবিধ বর্ণের পানীয়, যাতে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্য। অবশ্যই তাতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ সুরা নাহল : ৬৮-৬৯
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) মধু বেশ পছন্দ করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) মিষ্টি ও মধু খুব ভালোবাসতেন। সহিহ বোখারি : ৫২৭০
এ ছাড়া তিনি অন্যদের বিভিন্ন রোগের জন্য মধু পান করার পরামর্শ দিতেন। নবী করিম (সা.)-এর কাছে এক সাহাবি এসে তার ভাইয়ের পেটের অসুখের কথা বললে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে মধু পান করানোর পরামর্শ দেন এবং এতে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। সহিহ বোখারি : ৫৩৬০
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.