মাওলানা ফখরুল ইসলাম:
কারও কারও মুখে শোনা যায় যে, আল্লাহতায়ালা যে জলভাগ দিয়ে হজরত মুসা আলাইহিস সালাম ও তার সঙ্গী-সাথীদের কুদরতিভাবে পার করেছিলেন আর অত্যাচারী শাসক ফেরাউনকে ও তার দলবলকে নিমজ্জিত করেছিলেন তা হচ্ছে নীলনদ। এই ধারণা সঠিক নয়। যেহেতু নীলনদ মিসরের নদী আর ফেরাউন ছিল মিসরের অধিপতি, সম্ভবত এ জন্যই এ কথা অনেকের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হয়। ফলে এই ভুল ধারণা ব্যাপকতা লাভ করেছে। সঠিক তথ্য হচ্ছে, ফেরাউন যে স্থানে নিমজ্জিত হয়েছে তা হচ্ছে লোহিত সাগরের উত্তরের অংশ। মিসরের পূর্বে যেখানে সুয়েজ খাল খনন করা হয়েছে তার সঙ্গে সংলগ্ন দক্ষিণে সমুদ্র দুটি মাথা পরিলক্ষিত হয়। আমাদের আলোচিত স্থান হচ্ছে পশ্চিমের মাথা। (এ স্থান বর্তমানে সুয়েজ উপসাগর নামে পরিচিত)।
হজরত মুসা (আ.) যখন আল্লাহতায়ালার আদেশে মজলুম নবী ইসরাইলকে সঙ্গে নিয়ে রাতের বেলা এখানে পৌঁছলেন এবং সঙ্গের লাঠি দ্বারা সমুদ্রে আঘাত করলেন তখন সমুদ্র যেন তার জন্য পথ করে দিল। পানি উঁচু টিলার মতো দুই পাশে স্থির হয়ে গেল আর তিনি শুকনা রাস্তা দিয়ে সমুদ্র পার হলেন। সমুদ্র পাড়ি দিয়ে হজরত মুসা (আ.) ও তার সঙ্গীরা সীনা উপদ্বীপে উপনীত হয়েছিলেন। এদিকে ফেরাউন যখন তার বাহিনী নিয়ে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করতে চাইল এবং সে রাস্তা অতিক্রম করতে চাইল তখন আল্লাহতায়ালা উভয় পার্শ্ব থেকে পানিকে মিলিত হওয়ার আদেশ দিলেন। ফলে তারা সবাই নিমজ্জিত হয়ে যায়।
হজরত মুসা (আ.) সে সময় মিসর থেকে সীনা উপদ্বীপে পৌঁছেছিলেন তা একটি স্বীকৃত বিষয়। মিসর থেকে সীনা যাওয়ার পথে যে জলভাগ রয়েছে তা হচ্ছে লোহিত সাগর, নীল নদের প্রশ্ন এখানে অবান্তর। আরদুল কুরআন, মাওলানা আবদুল মাজেদ দরিয়াবাদী : ১৮-১৯
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.