মুহাম্মদ শফিকুর রহমান:
যে মানুষের ব্যস্ততা যত কম, অবসর সময় বেশি তার তত বেশি পাপকাজে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। মানুষ অলস বসে সময় কাটাবে, এটা আল্লাহর মোটেই পছন্দনীয় নয়। নামাজের পর মানুষকে রিজিকের সন্ধানে বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ‘এরপর যখন নামাজ আদায় শেষ হবে, তখন তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে, আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করবে এবং আল্লাহর বেশি বেশি জিকির করবে, এতে তোমরা সফল হবে।’-সুরা আল জুমুআ : ১০
লক্ষ করলে দেখা যাবে, প্রায় সব নবী-রাসুল মেষ চড়িয়েছেন। জীবনভর কোনো না কোনো কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। তাদের অনেকেরই ধন-দৌলতের অভাব ছিল না। কিন্তু তারা তা দান করে দিয়ে সাধারণ জীবন বেছে নিয়েছেন। তাদের জীবনে মুখ্য ছিল- আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। এমন কিছু না করা, যেটা আল্লাহর পছন্দ নয়। অতিরিক্ত সম্পদ আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলতে নানা বাধার সৃষ্টি করতে পারে। সবচেয়ে বড় চাপ হলো, সম্পদের সব হিসাব আল্লাহকে দিতে হবে। আবার সম্পদের জাকাত না দিলে তো সর্বনাশ। জাকাত না দিলে কেমন শাস্তি হবে সেটা জানা যাক, পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘এবং যারা সোনা ও রুপা জমা করে রাখে, আর তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে না, আপনি তাদের বেদনাদায়ক আজাবের সুসংবাদ দিন, যেদিন জাহান্নামের আগুনে তা গরম করা হবে, অতঃপর তা দিয়ে তাদের কপালে, পার্শ্বদেশে ও পিঠে সেঁক দেওয়া হবে। (আর বলা হবে) এটা তা-ই, যা তোমরা নিজেদের জন্য জমা করে রেখেছিলে। সুতরাং তোমরা যা জমা করেছিলে তার স্বাদ উপভোগ করো।’-সুরা তওবা : ৩৪-৩৫
অতিরিক্ত সম্পদ যতটা না সুখী করে, তার চেয়ে মানুষের বেশি বিপদ ডেকে আনে। ওই সম্পদ রক্ষার্থে নানা তৎপরতা চালাতে হয়। এছাড়া সম্পদের আধিক্য মানুষকে অহংকারী করে তুলতে পারে। অহংকারের পরিণাম কতই না খারাপ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিনটি বস্তু মানবের ধ্বংসের কারণ, প্রবৃত্তি বা নফসের পূজা, লোভ ও আত্ম-অহংকার। তিনি আরও বলেন, অহংকারই হলো- সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক।’
আমাদের সমাজব্যবস্থায় এর উল্টোচিত্র দেখা যায়। অমুকের বাবা এত সম্পদ রেখে গিয়েছেন। ছেলেমেয়েরা কোনো কাজ করে না। শুয়ে-বসে কাটায়। ফলে অলস মস্তিষ্ক এদের নানা কুবুদ্ধি দেয়। কোনো কাজে ব্যস্ত থাকলে খারাপ চিন্তা মাথায় আসার সুযোগ কম। কর্মক্ষেত্রে কাজের পরে যে সময়টা থাকে। তা পরিবারকে দেওয়াসহ নানাকাজে তৎপর থাকা কাম্য। ফলে মাথায় খারাপ চিন্তা আসার সুযোগ কম হবে। পাপে জড়ানো কম হবে। এই বাস্তবতা আমারা কবে বুঝতে পারব সেটাই প্রশ্ন।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.