ধর্ম ডেস্ক:
প্রশ্ন : ১. আমাদের এলাকায় মাটি জমি খুঁড়ে ফলন দেখে গড় হিসাবে অনুমানের ওপর ভিত্তি করে ‘হলুদ’ ক্রয়-বিক্রয়ের প্রচলন আছে, এভাবে মাটির নিচে লুকায়িত জিনিস বিক্রি করা কি জায়েজ?
২. আর গরু-ছাগল বর্গা দেওয়া হয় এই নিয়মে যে, বর্গা দেওয়ার সময় পশুর যে মূল্য থাকে সে মূল্যের পর থেকে বছর শেষে যতটুকু মূল্য বাড়বে তা দু’ভাগে ভাগ করা হবে। এ পদ্ধতি জায়েজ আছে কি?
৩. একজন তার বাগানের আনারস ছোট থাকা অবস্থায় সংখ্যা হিসেবে বিক্রি করে দিয়েছে। তবে ক্রেতার শর্ত ছিল, আনারস পাকা পর্যন্ত বাগানে রাখবে। এই বিক্রয় পদ্ধতি কি জায়েজ?
-হাফেজ মাহবুবুল্লাহ, ভালুকা, ময়মনসিংহ
উত্তর : ১. হ্যাঁ, এভাবে হলুদের ক্রয়-বিক্রয় সহিহ। কেননা জমিনের কিছু অংশের ফলন প্রত্যক্ষ করার পর অভিজ্ঞ ক্রেতা-বিক্রেতারা পুরো জমিনের হলুদের মোটামুটি একটি পরিমাণ বুঝে নিতে পারে। বিষয়টি তাদের কাছে তেমন অস্পষ্ট থাকে না এবং এ কারণে ঝগড়া-বিবাদও হতে দেখা যায় না। সুতরাং এ লেনদেন জায়েজ। -মাজমাউল আনহুর : ৩/৫৫
২. গরু বর্গার এ পদ্ধতিটি শরিয়তসম্মত নয়। সহিহ পদ্ধতি হলো, গরুর মালিক লালন-পালনকারীর সঙ্গে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের বিনিময়ে চুক্তি করবে। সেক্ষেত্রে গরু থেকে প্রাপ্ত যাবতীয় আয় গরুর মালিক পাবে আর লালন-পালনকারী খাবারের খরচ ও নির্ধারিত পারিশ্রমিক পাবে। -আল মুহিতুল বুরহানি : ৮/৩৯৮
৩. না, এই ক্রয়-বিক্রয় বৈধ হয়নি। অপরিপক্ব ফল পাকা পর্যন্ত বাগানে রাখার শর্ত করে বিক্রি করা জায়েজ নয়। এ কারণে ক্রয় চুক্তি ফাসেদ হয়ে যায়। তাই কখনো অপরিপক্ব ফল বিক্রি করতে হলে তা কোনো প্রকার শর্ত করা ছাড়া ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে। এরপর বাগানের মালিক যদি তা কিছুদিন রাখার অনুমতি দেন তবে সেক্ষেত্রে সমস্যা হবে না। -মুখতারাতুন নাওয়াযিল : ৩/২৮০
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.