ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের সমুদ্র পথে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হবে। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে মিয়ানমারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেন অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের ৩২৮ জন নাগরিককে কীভাবে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে, সেটা সভার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল।
বৈঠক সূত্র জানায়, মিয়ানমার তাদের বাহিনীর লোকদের নাফ নদ হয়ে ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল। তাতে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ। কারণ নাফ নদ দিয়ে ফেরত পাঠানোর সময় আরাকান আর্মি যদি কোনো হামলা চালায়, আর তাতে যদি কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটে, তাহলে তার দায় বাংলাদেশকেও নিতে হবে। বিকল্প পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ তাদের আকাশপথে ফেরত পাঠানোর বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু মিয়ানমার সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তাই এখন সমুদ্রপথে তাদের ফেরত পাঠানো হবে বলে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, সরাসরি কোনো ঝুঁকি দেখছি না। বিজিবির সর্বোচ্চ প্রস্তুতি আছে, যাতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়।
গতকাল আরাকান আর্মিসহ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার মুখে নতুন করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সামরিক কমান্ডারসহ ৬৪ জন টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন ৩২৮ জন মিয়ানমারের নাগরিক।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.