ভয়েস প্রতিবেদক
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির (এএ) মধ্যে সংঘর্ষের আঁচ এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ সীমান্তে কিছুটা কম পড়েছিল। কিন্তু গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯ থেকে ১০টা পর্যন্ত মর্টার শেলের শব্দে আবারও কেঁপে উঠে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত।
সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মংডু শহরের উত্তরে নাকপুরা এলাকায় সংঘাত ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে গতকাল রাত ১০টার পর থেকে আজ সোমবার বেলা ১টা পর্যন্ত বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়নি। অবশ্যই মাঝেমধ্যে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির দেড় মাসের বেশি সময় ধরে সশস্ত্র সংঘাত চলছে। দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি, মর্টার শেল, গ্রেনেড, বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। এর প্রভাব এসে পড়ছে সীমান্তের এপাশে। সপ্তাহখানেক সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও গতকাল রাতে হঠাৎ একসঙ্গে অন্তত ২১টি মর্টার শেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্তের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বলে জানান তিনি।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, রাতের বেলায় বিকট শব্দে মর্টার শেলের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, কুলালপাড়া, ডেইলপাড়া, হাঙ্গারডেইলসহ অন্তত ১৩টি গ্রাম।
সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, নাকপুরা মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সেক্টর অফিস গতকাল সন্ধ্যার পর আরকান আর্মি ঘিরে ফেলে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। বিজিপির সদস্যরা বিদ্রোহীদের অবস্থান চিহ্নিত করে হামলা চালাচ্ছে।
রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়ে ২ বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ওপারে সংঘাতের কারণে মাঝেমধ্যে এপারে গোলাগুলির শব্দ আসছে। এ পরিস্থিতিতে বিশেষ করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.