বিশেষ প্রতিবেদক:
চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম শেখ ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের যুগ্মসচিব (পরিচালক প্রশাসন ও অর্থ) সৈয়দ মো. নুরুল বাসির স্বাক্ষরিত আলাদা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুষ নেয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। তাছাড়া দেশের সব গণমাধ্যম গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করার পর আমজাদ হোসেন ও মমতাজ বেগমের ঘুষ লেনদেন নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠে।
প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, চকরিয়ার উপজেলার হারবাং মধ্যম পহরচাঁদা এতিমখানার এতিম শিশুদের জন্য ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট বরাদ্দ দেওয়া হয় ১লাখ ৯২হাজার টাকা। এ টাকা পেতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগম এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ চান। তিন দফা বৈঠক করার পর মমতাজ বেগমকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়া হয়। ভিক্ষুকদের সেলাই মেশিন বিতরণের অফিস খরচের জন্য ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ ছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি ও প্রতিবন্ধী ভাতা বই পেতে উপকারভোগীর কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করতেন আমজাদ হোসেন ও মমতাজ বেগম। দুই কর্মকর্তার সাময়িক বরখাস্তের খবর জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এতিমদের টাকার ওপর যাঁরা ভাগ বসায়, তাঁরা কী ভালো মানুষ। সমাজসেবা কার্যালয়ের সব গরীব লোকজনই যায, কিন্তু তাঁদের চুষে খাচ্ছে এ রকম কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। সংশ্লিষ্ট দপ্তর দ্রুত সময়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আমি খুশি।’
বরখাস্তের বিষয়ে জানতে চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগমের কাছে বক্তব্য নিতে যোগাযোগ করা হয়। তাঁরা দুজনের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে কক্সবাজার জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক হাসান মাসুদকে ফোন করা হলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.