ভয়েস প্রতিবেদক, টেকনাফ:
টেকনাফে ১০জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার মেরিন ড্রাইভ সড়কের হাবিরছড়া ও রাজারছড়া এলাকা থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া মরদেহের মধ্যে ৫ জন নারী ৩জন শিশু ও ২ জন পুরুষ রয়েছে। এঘটনায় আরো বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ মিয়া জানিয়েছেন, 'মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে অনুপ্রবেশ করার সময় টেকনাফের নাফ নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এই পর্যন্ত ১০ জন রোহিঙ্গা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ গুলো প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসারে ক্যাম্পে থাকা স্বজনদের কাছে নিহতদের মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়। ডুবে যাওয়া নৌকায় ৩১ জন রোহিঙ্গা ছিল বলে জানা গেছে।'
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনায় ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আরও কিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। যারা বিজিবি হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
টেকনাফ বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছেন, টেকনাফ উপজেলার মুন্ডার ডেইল এলাকার দানু মেম্বারের মালিকানাধীন আনোয়ার মাঝি ও মনু মাঝির দুই নৌকা করে জিয়াউর রহমানের মালিকানাধীন কালাইয়া মাঝি, রবিউলের মালিকানাধীন নৌকার মাঝি লেদু মিয়া, মনু মিয়ার মালিকানাধীন হারুন, নুর কবির ও রহিম উল্লাহর নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের জন্য নাফ নদীতে যায়। ওখান থেকে আসার পথে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, গত ২ দিনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে অন্তত কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, গত দুই দিনে নৌকা যোগে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গা অনেকেই কৌশলে ক্যাম্পে প্রবেশ করলেও বিজিবি সদস্যরা কিছু সংখ্যক আটক করেছে। তাদের বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.