কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের পর উত্তাল কলকাতা। গতকাল রাতে ‘মধ্যরাত দখলের’ কর্মসূচি দেয় নারীরা। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি টলিউডের তারকারাও এতে অংশ নেন।
প্রাক্তন সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী, নুসরাত ছাড়াও এতে অংশ নেন শুভশ্রী গাঙ্গুলি, পার্নো মিত্রর মতো অভিনেত্রীরাও। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন অরিন্দম শীল, বিরসা দাসগুপ্ত। উত্তাল কলকাতার রাতের এই দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মিমি চক্রবর্তী একটি ভিডিও নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে রাতের শহর। এর ক্যাপশনে এ অভিনেত্রী লেখেন, ‘বিচারের দেরি হওয়া মানেই বিচার এড়িয়ে যাওয়া। আজকে আমাদের আনন্দের শহরের প্রতিটি কোণা কাঁদছে। কারণ আমরা মানুষ হিসেবে ব্যর্থ। প্রতিটি গলি ন্যায় বিচারের জন্য গর্জে উঠেছে।’
আগের একটি পোস্ট পুনরায় উল্লেখ করে মিমি লেখেন, ‘এমন শাস্তি হওয়া উচিত যে, পরেরবার এমন জঘন্য অপরাধের কথা ভাবলেও মেরুদন্ড কেঁপে উঠবে। কোনো করুণা নয়।’
ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়া আরেকটি ছবিতে দেখা যায় অগণিত মানুষ। তাদের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন শুভশ্রী গাঙ্গুলি, অরিন্দম শীল, পার্নো মিত্র। অনেকের হাতে প্ল্যাকার্ড। তার কোনোটিতে মুষ্টিবদ্ধ হাত, কোনোটিতে লেখা ন্যায় বিচার চাই।
অভিনেতা কৌশিক সেনের পুত্র ঋদ্ধি সেনও রাতের রাজপথে নেমেছিলেন। তারই একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘এই শুভ রাতে ভালো হয়ে থেকো না। রাগ দেখাও, ক্ষোভ দেখাও। এই মৃতপ্রায় আলোতে গর্জে ওঠো অন্ধকারের বিরুদ্ধে।’
কলকাতার ছোট পর্দার একাধিক তারকারাও গত রাতের মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিক খ্যাত তনুশ্রী গোস্বামী, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’-এর কাকিয়া তথা সায়ন্তনী মল্লিক, দিব্যজ্যোতি দত্ত, তৃণা সাহা, ঋতব্রত মুখার্জিও পথে নেমেছিলেন।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.