বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বেশ কয়েকমাস ধরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি শহরের দখল নিয়েছে তারা। এবার মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মংডু শহর দখলের দাবি জানিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।
রোববার সকালে মংডু শহর দখলের পাশাপাশি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ২৭০ কিলোমিটার সীমান্তের পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি জানিয়েছে আরাকান আর্মি।
সোমবার মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সশস্ত্র এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা জান্তার শেষ অবশিষ্ট সীমান্ত ঘাঁটি মংডু শহরের বাইরে অবস্থিত বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নং ৫ বেশ কয়েক মাস লড়াইয়ের পর রোববার সকালে দখল করেছে।
সিরিয়াতে ২৫০ এর বেশি হামলা, একের পর এক ভূখণ্ড দখল করছে ইসরায়েলসিরিয়াতে ২৫০ এর বেশি হামলা, একের পর এক ভূখণ্ড দখল করছে ইসরায়েল
আরাকান আর্মির দাবির বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সকালে জান্তার সীমান্ত এলাকার সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নম্বর ৫ লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বর্ডার গার্ড পুলিশ, আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ), আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এর সরকার এবং সহযোগী রোহিঙ্গা মিলিশিয়াদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে।
রাখাইন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মংডুতে লড়াইয়ের পর সোমবার আরকান আর্মি মিলিটারি অপারেশন কমান্ড ১৫–এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনকে গ্রেপ্তার করে। এর বাইরে ৮০ রোহিঙ্গা বিদ্রোহী ও জান্তা সেনাকে গ্রেপ্তার করেছে আরাকান আর্মি।
গত মে মাসের শেষের দিকে মংডু আক্রমণ শুরু করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। তীব্র লড়াইয়ের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী এই শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতে ছয় মাস সময় লাগল তাদের।
ইরাবতী বলছে, আরাকান আর্মি এখন বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের তিনটি শহরেরই নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করছে। এগুলো হচ্ছে— রাখাইন প্রদেশের মংডু ও বুথিডাং এবং চিন প্রদেশের পালেতোয়া। পালেতোয়ার সঙ্গে ভারতের সীমান্তও রয়েছে।
রাখাইনে যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একজন সামরিক বিশ্লেষক বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য পুনঃস্থাপন পশ্চিমাঞ্চলীয় এই প্রদেশে বসবাসকারী মানুষের দুর্দশা কমাতে সাহায্য করবে।
নয়াদিল্লির ৪০টি স্কুলে বোমা হামলার হুমকিনয়াদিল্লির ৪০টি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি
অন্যদিকে জাতিসংঘ গত মাসে জানিয়েছিল যে, রাখাইনে ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন।
জান্তার পক্ষ থেকে এসব রাজ্যে যাওয়ার জন্য সড়কপথ ও নৌপথ অবরোধ করে রাখা হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাসহ খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ সেখানে যেতে পারছে না।
সামরিক ওই বিশ্লেষক বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারকে বিদ্রোহী সেনাবাহিনীর সঙ্গে অর্থপূর্ণ সংলাপ করতে হবে।
আরাকান আর্মি এখন দক্ষিণ রাখাইনের গাওয়া, তাউনগুপ ও আন শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই করছে। ইতোমধ্যে আন শহরে ৩০টি জান্তা ঘাঁটি দখল করেছে আরাকান আর্মি। অন্য শহরগুলোতেও এগিয়েছে বিদ্রোহী এ গোষ্ঠী।
ভয়েস/আআ