ভয়েস নিউজ ডেস্ক :
সরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অবাধ বিচরনের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখন থেকে সপ্তাহে দুই দিনে মোট পাঁচ ঘণ্টা চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম ফজলুল হক খান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এই নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়।
দেশের সব সরকারি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের কাছে পাঠানো এই নির্দেশনায় মোট আটটি বিষয় উল্লেখ করা হলেও সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের ওপর।
পরিপত্রের ৬ নম্বর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে সপ্তাহে শুধু দুই দিন—সোমবার ও বৃহস্পতিবার—ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন। সাক্ষাতের জন্য দুপুর ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এই নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে কোনো ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি সরকারি হাসপাতালের সীমানার মধ্যে অবস্থান করতে পারবেন না বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। আর, সাক্ষাতের সময় সব প্রতিনিধিকে অবশ্যই নিজ নিজ কোম্পানির দেওয়া পরিচয়পত্র দৃশ্যমানভাবে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে, কোনোভাবেই রোগীর কোন তথ্য সংগ্রহ বা প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলতে পারবেন না।
দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারগুলোতে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিড়ে রোগীদের ভোগান্তি এবং কর্মপরিবেশ নষ্ট হওয়ার অভিযোগ ছিল। তাদের বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ বা নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ লিখতে চিকিৎসকদের প্রভাবিত করারও অভিযোগ রয়েছে।
অন্যান্য নির্দেশনার মধ্যে আছে— বেসরকারি ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাডে ব্যবস্থাপত্র না লেখা এবং হাসপাতালে সরবরাহ থাকা ওষুধ বা পরীক্ষা বাইরে থেকে করাতে না বলা।
এসব ছাড়াও, সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কোনো বেসরকারি সিল ব্যবহার করা যাবে না। তবে বিজ্ঞাপন বিহীন জেনেরিক নামের সিল ব্যবহার করা যাবে। বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির সরবরাহ করা ওষুধের তালিকা টেবিলে রাখা যাবে না।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.