ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা যতই আমদানি করছি, সরবরাহ বাড়াচ্ছি পাইকারি ও খুচরা বাজারে একটা সমস্যা থেকে যাচ্ছে। তারা তো অর্থনীতির যৌক্তিকতার বাইরে। তবে আমাদের এখানে সম্প্রতি খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেশ কমেছে। মূল্যস্ফীতি না কমার প্রসঙ্গ তুলে ধরলে তিনি এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মূল্যস্ফীতি ও কর্মসংস্থান নিয়ে সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তবে বেকারত্ব নিয়ে যা বলা হচ্ছে, অর্থ উপদেষ্টা মনে করেন তা ‘দৃষ্টি আকর্ষণের’ জন্য।
বেকারত্ব সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি এক সেমিনারে অর্থনীতিবিদদের মন্তব্যে প্রসঙ্গ টানলে উপদেষ্টা বলেন, বেকারত্ব অবশ্যই একটা সমস্যা। তবে তারা যেসব বিশেষণ ব্যবহার করছেন তা দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। বেসরকারি খাত মন্থর হয়ে গেলে তার একটা প্রভাব তো পড়ে। কিন্তু ওনারা যে ‘ভয়াবহ মহামারী’ এসব শব্দ ব্যবহার করছেন তা কিন্তু দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। এবং দৃষ্টি আকর্ষিত হচ্ছেও, এটা কিন্তু ভালো। আমরাও এসব বিষয়ে কনসার্ন আছি।
সালেহউদ্দিন বলেন, ব্যবসাটা এখন একটু ভালোর দিকে যাচ্ছে। মাঝখানে ব্যবসা না থাকার কারণে এনবিআর এর কর-রাজস্ব কমে গিয়েছিল।
বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ানোর প্রচেষ্টায় রয়েছে সরকার। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কোন ধরনের পণ্য কতটুকু আমদানি বাড়ানো হবে সে সিদ্ধান্ত নেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর প্রয়োগটা কীভাবে হবে সেটা আমরা বসে ঠিক করব।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ট্যারিফ কিছুটা বেশি হলেও তার কোয়ালিটি ভালো হবে। যেমন গম আমদানির ক্ষেত্রে, দাম কিছুটা বেশি হলেও পণ্যের কোয়ালিটি অনেক ভালো। তাছাড়া ট্যারিফ এড়ানোর জন্য আমাদের আমদানিও করা প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে এলএনজি ক্রয় সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, চায়না হোক কিংবা আমেরিকা হোক, আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনা করেই কিনছি। আমেরিকা দেখলেই আমরা কিনে ফেলব বিষয়টা এত সহজ নয়। পিটার হাসকে দেখে কোন কোম্পানি থেকে এলএনজি কেনা হচ্ছে না।
সালেহউদ্দিন বলেন, সার আমদানির ক্ষেত্রে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। কৃষি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।
এদিন ক্রয় কমিটির বৈঠকে খুলনা বিভাগের জন্য নয়টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন হয়। এতে মোট খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২৫৫ কোটি টাকা। বিবিয়ানা ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র মেরামতের একটি বিলও পাশ হয়। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৯০১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। বৈঠকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ডিএপি সার আমদানি ও এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি ইউনিট ১১ দশমিক ৮৮ ডলারে আরামকো ট্রেডিং সিঙ্গাপুর থেকে কেনা হচ্ছে এক কার্গো এলএনজি।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.