রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৩১ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের শহরের আবাসিক হোটেলে সাইফ উদ্দিন (৪৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার ঘটনায় নতুন মোড় নিয়েছে। হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আশরাফুল আলম নামের আসামীকে গ্রেপ্তারের পর এ মোড় নিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আশরাফুল হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, হোটেলে নৈতিক স্খলনের প্রতিশোধ নিতে আ’লীগ নেতা সাইফ উদ্দিনকে হত্যা করা হয়।
আজ দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো: মাহফুজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফ উদ্দিনের এক দুসম্পর্কের আত্মীয়ের মাধ্যমে পরিচয় হয় আশরাফুল ইসলামের। সেই পরিচয় আরো ঘনিষ্ঠ করে রোববার বিকেলে শহরের বড় বাজার থেকে দেশীয় মদ ও পেয়ারা কিনে হলিডে মোড়ের হোটেল সানমুনের ২০৮ নম্বর কক্ষে উঠেন তারা। সেখানে দেশীয় মদ ও পেয়ারা খাইয়ে আশরাফুলকে এক পর্যায়ে যৌন নির্যাতন করে সাইফ উদ্দিন। যৌন নির্যাতন করে সাইফ সেই ভিডিও ধারণ করেছে নিজের মোবাইলে। পরে বাইকে করে গোলদিঘির পাড়ে নামিয়ে দিয়ে ১০০ টাকা দিয়ে চলে যেতে বলে।
এর এক ঘন্টা পর আবারও ফোন করে হোটেলে ডাকে সাইফ। সেখানে আবারও চেষ্টা করা হয় যৌন নির্যাতনের। তখন এক পর্যায়ে নিজের উপর যৌন নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতেই আওয়ামীলীগ নেতা সাইফ উদ্দিনকে হত্যা করে পালিয়ে যায় আশরাফুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার মো: মাহফুজুল ইসলাম আরও জানান, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা সাইফ উদ্দিনকে হত্যার ২৪ ঘটনার মধ্যে হত্যাকারি আশরাফুল ইসলামকে কক্সবাজার থেকে উখিয়া হয়ে টেকনাফ পালানোর সময় পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সোমবার দিবাগত রাত ১২ টা ৪০ মিনিটের সময় হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি তাকে গ্রেপ্তার করে। তাৎক্ষনিক জিজ্ঞাসাবাদে আশরাফুল আওয়ামীলীগ নেতা সাইফ উদ্দিন হত্যায় দায় স্বীকার করেছেন।
আশরাফুলের বাড়ী কক্সবাজার শহরের দক্ষিন পাহাড়তলীর ইসলামপুর এলাকায়। তার বাবার নাম হাসেম মাঝি। আশরাফুল কে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা হয়।
নিহত সাইফুদ্দিন কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত আনসার কমান্ডার আবুল বশরের ছেলে। তিনি কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক। তিনি কাদেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিও।
ভয়েস/আআ