রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:২৩ অপরাহ্ন
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
চাকরি থেকে অবসর নিলে বা বয়স হলেই মনে হয় একগাদা রোগ চারদিক থেকে চেপে ধরবে। এমন ধারণা অনেকেরই থাকে। কর্মজীবনের দীর্ঘ ২০-৩০ বছর এক রুটিনে থাকার পর হঠাৎ অবসর শরীর এবং মনের উপর চাপ ফেলে।
সকলে সেই চাপ সামলে উঠতে পারেন না। দিনে দিনে শরীর খারাপ বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি জটিল হলে চিকিৎসক এবং ওষুধ ছাড়া এক পা ফেলার উপায় থাকে না।
তবে মনোবিদেরা বলছেন, বয়স ষাটের কাছাকাছি পৌঁছানোর আগে থেকেই যদি প্রতিদিনের রুটিনে একটু একটু করে কিছু কাজ বা অভ্যাস যোগ করা হয়, তা হলে অনেকটাই সুস্থ ও সাবলীল জীবন পাওয়া সম্ভব। এসব অভ্যাসে বয়স বাড়লেও শরীর এবং মনের উপর তার কোনও প্রভাব পড়বে না।
১) নিয়মিত ব্যায়াম করা
রোজ অন্ততপক্ষে আধাঘণ্টা শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করলেই অনেক রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, টানা ছয় মাস শরীরচর্চা করলে ক্যান্সারের মত জটিল রোগও প্রতিরোধ করা যায়। এ ছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস বয়স্ক জীবনে হার্ট ভালো রাখার পাশাপাশি হাড়ের অনেক রোগকে বাসা বাঁধতে দেয় না।
২) প্রতিদিন বাদাম খাওয়া
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি দিন এক মুঠো করে বাদাম খেলে অকালমৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটাই কমিয়ে ফেলা যায়। বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ই, কে, ম্যাগনেশিয়াম, কপারের মতো বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদান। এসব উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাওয়া রোগগুলিকে বশে রাখতে সাহায্য করে।
৩) ঘুমানোর আগে আগে বই পড়া
ফোনের স্ক্রিন চোখ থেকে সরিয়ে প্রতি দিন অন্তত একটি পাতা করে বই পড়ার চেষ্টা করুন। বয়স বাড়লে মানুষের ধৈর্য কমে আসে, মনোযোগের অভাবও হয়। স্মৃতিশক্তি কমতে শুরু করে। ২০১৬ সালের একটি গবেষণা বলছে, বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকা এই সমস্যাগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বই পড়ার অভ্যাস।
৪) বাগান চর্চা করা
মন ও শরীর ভালো রাখতে বাগান বা গাছের বিকল্প নেই। এইজন্য অনেকেই দীর্ঘ কর্মজীবন থেকে অবসরের পর বাগানচর্চা করে থাকেন। মনোবিদেরাও বলছেন, মন ভাল রাখতে একটা বয়স পর সবুজের সঙ্গে সময় কাটানো ভীষণ ভাবে কার্যকরী। অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক বলছেন, অবসরের পর দিনে অন্তত এক ঘণ্টা গাছের সঙ্গে কাটালে বা বাগানে কাটালে বয়সজনিত অনেক রোগই ঠেকিয়ে রাখা যায়।
৫) বন্ধুর সঙ্গে কথা বলা
সারা দিনে অন্তত মিনিট দশেক এমন কোনও এক জনের সঙ্গে কথা বলার অভ্যাস করুন, যার সঙ্গে চট করে দেখা হয় না। গবেষণা বলছে, পরিবার-পরিজনের বাইরে সুস্থ আলোচনা আসলে বেঁচে থাকার রসদ জোগাতে সাহায্য করে।
ভয়েস/আআ