শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ঈদে সৈকতে আশানুরূপ পর্যটক নেই

ঈদের ছুটিতে লাবনী পয়েন্টে পর্যটকদের আনাগোনা-ছবি:কক্সবাজার ভয়েস।

আবদুল আজিজ:
প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে লাখো পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমনে আসলেও এবারের ঈদের ছুটিতে নেই কোন আশানুরূপ পর্যটক। ঈদের পর থেকে বেশকিছু পর্যটকের আগমন হলেও অধিকাং কক্সবাজার ও জেলার আশপাশের লোকজন। হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা বলছেন, ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে গত ৩ দিনে অন্তত ২ লাখের বেশী পর্যটক সমাগম হলেও স্থানীয় পর্যটকের সংখ্যা বেশী। সোমবার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ হোটেল কক্ষ বুকিং রয়েছে। এদিকে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় সজাগ রয়েছে লাইফ গার্ড কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র গুলোতে দেখা গেছে, দূর-দুরান্ত আশা পর্যটকের সংখ্যা কমেগেছে। কারণ হিসাবে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন প্রচন্ড দাপদাহ আর ঈদের ছুটি পেয়েছে কম। তবে আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার পর্যটক আগমন বেশী হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা। গত তিনদিনে যেসব পর্যটক কক্সবাজারে এসেছে বিশেষ করে সৈকতের পয়েন্ট গুলোতে জমজমাট করে তুলেছে। অন্য পর্যটন স্পটগুলো ফাঁকা।

পর্যটক ব্যবসায়ী মো: আবদুর রহমানের ভাষ্য মতে, পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারের ঈদে আশানুরূপ পর্যটক আসেনি। হয়তো আরও দুয়েকদিন পর আরও বেশী পর্যটক আসতে পারে। ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ হোটেল কক্ষ বুকিং রয়েছে।

সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড জয়নাল আবেদীন ভূট্টো জানান, যেসব পর্যটক কক্সবাজারে এসেছে এদের অধিকাং স্থানীয়। তবে তীব্র রোদ, তার সঙ্গে উত্তাল সাগর। তাই, এসব পর্যটকের সমুদ্রস্নানে ৩ স্তরের নিরাপত্তা দিচ্ছে সৈকতপাড়ের লাইফ গার্ড কর্মীরা।

কক্সবাজার কলাতলী-মেরিনড্রাইভ সড়ক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মৌখিম খান বলেন, ‘প্রতিবছর পর্যটকের যে ছাপ ছিল, এবছর তেমনটি হয়নি। তবে আগামী দুয়েকদিন পর্যটক সংখ্যা বাড়তে পারে।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, কক্সবাজারের ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেলের ৬০ থেকে ৭৫ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। ভাড়ায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে। হোটেলগুলোয় দৈনিক ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৬০ হাজার। পর্যটক আসতে শুরু করেছে। সন্ধ্যায় আরো বাড়বে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আজ কালের মধ্যে পর্যটকে ডুবে যাবে কক্সবাজার।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেছেন, পর্যটন স্পট, হোটেল মোটেল জোন ও সৈকতে জোরদার রয়েছেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। জেলার প্রতিটি পর্যটন স্পটে তাদের নজরদারি রয়েছে। এছাড়া সমুদ্র সৈকতে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো: আবু সুফিয়ান বলেন, জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। অতিরিক্ত ভাড়া, পর্যটক হয়রানি রোধ করতে তারা মাঠে রয়েছেন। পর্যটকদের নিরাপদে কক্সবাজার ভ্রমণে সর্বোচ্চ সজাগ রয়েছে প্রশাসন।

কক্সবাজার সমদ্রসৈকত ছাড়াও পর্যটকরা ঘুরছেন হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক ও মেরিন ড্রাইভসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION