শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৭ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

কেউ আসুক বা না আসুক একই ধারা আগামী জাতীয় নির্বাচনেও থাকবে: ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের, সড়ক ও সেতু মন্ত্রী।

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

গাজীপুরসহ সব সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনে সরকার কোন হস্তক্ষেপ করবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কেউ আসুক বা না আসুক একই ধারা আগামী জাতীয় নির্বাচনেও থাকবে। এই নির্বাচনে বাধা দিতে আসলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন, দেখুন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কাকে বলে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনাকে হত্যার মিশনে মাঠে নেমেছে বিএনপি। এটাই তাদের এক দফা। ১৪ বছরে জনগণের সাড়া না পেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে ষড়যন্ত্রের পথে নেমেছে বিএনপি।

মির্জা ফখরুলকে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কোন নেতা যদি খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দিতো তখন আপনাদের কি অনুভূতি হতো? জানতে চাই আপনার কাছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তা কাল হয়েছে। বিএনপি বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়। আওয়ামী লীগ কর্মীদের অনুভূতি গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের মানুষ বুঝেছে। ৭৫ আর ২০২৩ এক নয়। বিএনপির এটা অনুধাবন করা উচিত। সারাদেশ গর্জে উঠেছে। শেখ হাসিনার ওপর হামলা হলে কী করবে! আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চুপচাপ বসে থাকবে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি চায় সংঘাত, অস্থিতিশীলতা, অশান্তি ও রক্তপাত। আর আওয়ামী লীগ চায় নির্বাচন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে। নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কারো সঙ্গে সংঘাত, পাল্টাপাল্টি সংঘাতে যাব না। আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব এই অপশক্তিকে। এই অপশক্তিকে বাংলার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। এজন্য আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। আমাদের ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

তিনি বলেন, নেত্রীর নির্দেশ সংঘাতে যাওয়া যাবে না। আমরা সংঘাত করব না, কিন্তু সংঘাত আসলে চুপ করে বসে থাকব? কেউ যদি গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে আসে চুপচাপ থাকব? আঘাত এলে পাল্টা আঘাত দিবো না?

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।

বক্তারা বলেন, বিএনপি খুনির দল। খুনের মধ্যদিয়ে তারা সফলতা পেতে চায়। এজন্য তারা নতুন করে ঘাতকরূপে আবির্ভূত হয়েছে। এই জঙ্গিবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION