শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৯ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

নানা ষড়যন্ত্রের জালে মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু

ভয়েস প্রতিবেদক:

চকরিয়ার তরুণ রাজনীবিদ ও ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর হোসেন পল্টুকে নানা ষড়যন্ত্রের জালে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।একটি হেবা বা দানপত্রের ভূঁয়া দলিল নিয়ে এসব ষড়যন্ত্র করছে কুলসুমা নামের এক নারী। এমনটি অভিযোগ করেছেন মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু নিজেই। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ইসলামপুর তার নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে পল্টু দাবি করেন, কুলসুমা আক্তার নামের একজনের বিরুদ্ধে তার বাবার দেয়া হেবা বা দান পত্রের দলিল ভুয়া দাবি করে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোজাফ্ফার হোসেন পল্টু ও পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ২০০৫ সালে কুলসুমার বাবা মোহাম্মদ তৈয়ব জমিটি এবি ব্যাংক বরাবরে মর্টগেজ দলিল প্রদান করে ঋণ খেলাপিতে পরিণত হলে ব্যাংক তার সম্পত্তি নিলামে তুললে বিএস ৮৭৯ নং খতিয়ানে ৯৭১১ দাগের ৫৪ শতক জমি এবং গ্রামীণ সল্ট ইন্ডাষ্টিজ প্রথম নিলাম ডাককারী হিসেবে আমি নির্বাচিত হন মোজাফ্ফার হোসেন পল্টু।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘নাপিতখালী মৌজার বিএস ২০৮১ নং খতিয়ান ও ৮৭৯ নং খতিয়ানের ৯৭১১ দাগের উপর স্থীত হীরা ভ্যাকুয়াম ইভাপোরেশন সল্ট ইন্ডাষ্টিজ ২০১৬ সালে লিমিটেড কোম্পানিতে রুপান্তিত হয়।এটি একটি শতভাগ রপ্তানিমূখী শিল্প প্রতিষ্টান। বর্তমানে এ কোম্পানির বিরুদ্ধে ৮১৮ নং মামলার আদেশ মুলে (২কোটি ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৭০৭ টাকা অর্থ দন্ড হিসাবে সরকারের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইবুনাল পাওনা আছে।’

মোজাফ্ফার হোসেন পল্টু বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম ৩টি স্পেশাল বন্ড লাইন্সেস প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এটি একটি। কোম্পানিটি গঠন কল্পে চেয়ারম্যান হিসেবে শিমুল মোস্তাফা তুহিনের নামে ১৮ হাজার শেয়ার, ফেনী ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্লাহকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক করে ৬ হাজার শেয়ার ও কুলসুমা আক্তারের নামে ৬ হাজার শেয়ার দিয়ে পরিচালক করে কোম্পানি যাত্রা শুরু হয়।

গেল, ২০১৮ সালের ২০ জুলাই কুলসুমা আক্তার তার নামীয় মালিকানাধীন ৬ হাজার শেয়ার তার বাবা তৈয়বকে উচিৎ মূল গ্রহণ করে কোম্পানি আইনে ফরম ১১৭এর মাধ্যমে টিপ দস্তখত দিয়ে হস্তাস্তর করে পরিচালকের পদ হতে পদ ত্যাগ করেন। এক মাস পর মোহাম্মদ তৈয়ব নিজ নামে ক্রয়কৃত ৬ হাজার শেয়ার উচিত মূল গ্রহণ করে কোম্পানির তৎকালীন চেয়ারম্যান শিমুল মোস্তফা তুহিনকে হস্তান্তর করে এবং নিজের পদ হতে পদ ত্যাগ করে নিস্বত্ত্ববান হয়ে যান। যা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিমুল মোস্তফা তুহিন নিজ নামে ১৮ হাজার, ক্রয় সুত্রে ৬ হাজারসহ ২৪ হাজার শেয়ারের মালিক হন। এদিকে কোম্পানি আইনে ১০ অক্টোবর ২০১৮ সালে মোহাম্মদ হারুনের নামে ৬ হাজার শেয়ার দিয়ে নমিনীটেড ডাইরেক্টর করে ক্যাপিটাল বৃদ্ধি করে মোট ৩৬ হাজার শেয়ারে উন্নতি করা হয়। পরে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রহিম উল্লাহ ২০১৯ সালের ৩০ মার্চ তার নামীয় মালিকানাধীন ৬ হাজার শেয়ার সাবেক কোম্পানির চেয়ারম্যান শিমুল মোস্তফা তুহিনকে কোম্পানি আইনে হস্তান্তর করে নিজ পদ হতে পদত্যাগ করেন। এতে করে শিমুল মোস্তাফা তুহিনের শেয়ারের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০ হাজার। যা পরবর্তীতে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।’

পল্টু বলেন, ‘তৎকালীন চেয়ারম্যান শিমুল মোস্তফা তুহিনের নামীয় ৩০ হাজার শেয়ার হতে ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে ৩ হাজার শেয়ার ও একই সালের ৩ আগস্ট দ্বিতীয় ধাপে ২৫ হাজার শেয়ার উচিত মূল্য করে কোম্পানি আইনে ফরম ১১৭এর মাধ্যমে টিপ দস্তখত প্রদানের মাধ্যমে হস্তান্তর করলে আমি মালিকানা অর্জন করি এবং অত্র কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালনা পদ গ্রহণ করি। যা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। অবশিষ্ট ২ হাজার শেয়ার বর্তমান কোম্পানির চেয়ারম্যান ইফতেকার ইবনে গিয়াসকে হস্তান্তর করে এবং শিমুল মোস্তফা তুহিন সকল পদ হতে পদত্যাগ করেন। সেটিও গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। আমি নিয়মিত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ হতে হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করে ব্যবস্থা পরিচালনা করে আসতেছি। বিএস ২০৮১ নং খতিয়ানের বিএস ৯৭১১ দাগের ১৪ শতক জমি রেজিঃ অপ্রত্যাহার যোগ্য পাওয়ার অব এটর্নী মূল্যে মালিকানা অর্জন করি। বিএস ৮৭৯নং খতিয়ানের ৫৪ শতক জমি নিয়ে মোহাম্মদ তৈয়ব মালিক ছিলেন। তিনি ২০০৫ সালে এবি ব্যাংক ঢাকা ইমামগঞ্জ শাখায় মর্টগেজ প্রদান করে ঋণ গ্রহণ করলে তা সুদ-আসলে প্রায় ১৭কোটি ৯১ লাখ ৪৬ হাজার ২৮২ টাকায় পরিণত হয়ে ঋণ খেলাপিতে পরিণত হয়। এবং ঋণ খেলাপির দায়ে টাকা আদায়ের লক্ষ্যে কক্সবাজার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ১ম অর্থঋণ আদালত কক্সবাজার অর্থঋণ জারী মামলা নং-৭/২০২০ইং, অর্থঋণ জারী ৭৯/২০১৬ (ঢাকা)। মূল অর্থ ঋণ ৪৯৮/২০০৮ইং, নিঃ- ২২/০২/২০১৫ইং। বিগত ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর প্রকাশ্যে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। ওই নিলাম অনুষ্ঠানে বিএস ৮৭৯ নং খতিয়ানে ৯৭১১ দাগের ৫৪ শতক জমি এবং গ্রামীণ সল্ট ইন্ডাষ্টিজ টি প্রথম নিলাম ডাককারী হিসেবে আমি নির্বাচিত হই। এটি বর্তমান ব্যাংকে প্রক্রিয়াধীন আছে।’

মোজাফ্ফার হোসেন পল্টু আরও বলেন, ‘প্রতিপক্ষের দাবি অনুযায়ী মরহুম তৈয়ব হতে নেওয়া হেবা বা দান পত্র দলিল টি সম্পূর্ণ ভূয়া ও রেজিঃ বিহীন। আসলে ওই জমিটি ২০০৫ সালে মরহুম তৈয়ব এবি ব্যাংক বরাবরে মর্টগেজ প্রদান করলে ১১ বছর পরে কীভাবে ঐ মর্টগেজকৃত জমিটি দানপত্র মূলে তারা দাবী করে। এটি সম্পূর্ণ বেআইনী। শুধু তা নয়, তারা আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দপ্তরে ভুয়া বানোয়াট অভিযোগ করে আসছে। বর্তমানে আমি, আমার পরিবার ও আমার প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত সকল কর্মচারী চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। আমাদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ দায়িত্বশীল প্রশাসনের সকল বক্তিবর্গের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION