বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০১ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

বর্ষ বিদায় ও বরণ: লাখো পর্যটক দেখলো বছরের শেষ সূর্যাস্ত

আবদুল আজিজ:

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে ভ্রমণে এসেছেন লাখো পর্যটক। এসব পর্যটকেরা বিদায়ী বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে ভিড় জমিয়েছেন সৈকতে। কেউ বাবা-মাকে নিয়ে আবার কেউ প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে গোসলে নেমেছে সাগরের নোনাজলে। বছরের শেষ সূর্যাস্তকে স্মৃতিময় করে রাখতে ক্যামরা বন্দি করেছেন নিজ নিজ মোবাইল ও ক্যামরায়।

ইংরেজী বর্ষ বিদায় ও বরণকে কেন্দ্র করে আনন্দ উদযাপনে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে সমাগম ঘটে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের। প্রতিবছর থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে আয়োজন হত খ্যাতনামা শিল্পীদের অংশগ্রহণে ওপেন কনসার্টসহ নানা আয়োজন।আর এসব অনুষ্ঠান উপভোগে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে সমুদ্র সৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো। কিন্তু গত ৫/৬ বছর ধরে নিরাপত্তার অজুহাতে উন্মুক্ত পর্যায়ে কোন ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন নেই। এতে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে পর্যটক আগমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্রতিবছর হোটেল-মোটেলে ৮০/৯০ শতাংশ আগাম বুকিং হলেও এবছর কিছুটা কম। এরপরও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক পর্যটক এসেছে। তবে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে উন্মুক্ত পর্যায়ে কোন না থাকলেও তারকামানের হোটেল-মোটেলগুলোতে সাজসজ্জার পাশাপাশি রয়েছে কনসার্ট, গালা ডিনার ও রুম বুকিংয়ে বিশেষ ছাড়াসহ নানা আয়োজন।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পর্যটকদের একটি বড় অংশ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের পাশাপাশি দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণের জন্য আসে। এ বছর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে অনুমতি না পাওয়ায় পর্যটকের ভিড় তুলনামূলক কম।

হোটেল মোটেল সুত্র জানিয়েছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে তাদের হোটেলে স্পেশাল বুফে ডিনার এবং কালচারাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।  তারকা মানের হোটেল মোটেল গুলোতে বিভিন্ন ব্যান্ড সংগীতের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

পর্যটন উদ্যোক্তা বেলাল আবেদীন ভুট্টো বলেন, এবার নতুন বছরে পর্যটকের চাপ কম। কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের কলাতলী ও মেরিন ড্রাইভ সড়কে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, কটেজ ও রিসোর্ট রয়েছে। এতে কম সংখ্যক পর্যটক রুম বুকিং দিয়েছেন।

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোডের হোটেল-মোটেল, কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি মুকিম খান বলেন, নতুন বছরকে বরণ ও পুরোনো বছরকে বিদায় জানাতে সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের বাড়তি চাপ থাকতো। কিন্তু, এবছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে সৈকতে কনসার্ট বা বড় কোনো অনুষ্ঠান না থাকায় পর্যটক আসার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান বলেন, সৈকত সহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো আবু সুফিয়ান জানান সৈকতের উন্মুক্ত স্থানে কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবেনা। তবে হোটেলের নিজস্ব ব্যবস্হাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে।

এদিকে আজ শনিবার বিকালে কক্সবাজার শহরের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক হাজার পর্যটক সমুদ্রেসৈকতে স্নান ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মজেছে। বিভিন্ন বয়সের পর্যটকদের কেউ টায়ার টিউবে গা ভাসাচ্ছে, কেউ জলযান (জেটস্কি) নিয়ে সাগর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, কেউ আবার ঘোড়া ও বিচ বাইকে উঠে সৈকত দর্শনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।আবার অনেকেই মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক ও টেকনাফ সৈকতেও ছুটছে। এ ছাড়া সেন্ট মার্টিন, মহেশখালী আদিনাথ মন্দির, রামু বৌদ্ধপল্লি, চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, নিভৃতে নিসর্গসহ বিভিন্নস্থানে।

কক্সবাজারের ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেলে পর্যটক ধারণ ক্ষমতা রয়েছে অন্তত ২ লাখের বেশী।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION