বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোর রাতে কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন বঙ্গোপসাগর চ্যানেল থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। একসময় মিয়ানমারের ৬ নাগরিকসহ ৯জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।বৃহস্পতিবার বিকালে র্যাব-১৫ কক্সবাজারের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট খায়রুল ইসলাম সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেন্ট মার্টিন বঙ্গোপসাগরের অদূরে প্রতিকূল আবহাওয়ায় উপেক্ষা করে র্যাব-১৫ এর দুঃসাহসিক এবং শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালায়। এসময় ৬ জন মিয়ানমার নাগরিকসহ ৯ জন গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মতে ১ লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, টেকনাফ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত জাফর আমানের ছেলে আলী উল্লা (৫০), জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ব্লক-C, ক্যাম্প: C-4 এর মৃত ফজল আহমদের ছেলে আবু তাহের (৪০), টেকনাফ পৌরসভার দক্ষিণ জালিয়াপাড়া এলাকার ওসমান গনি ছেলে জিয়াবুল হোসেন (২১), মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার প্রত্তুমনি থানার মেহেরকুল এলাকার মোহাম্মদ রফিকের ছেলে মোঃ ইউনুস (৩৫), নূরে আলমের ছেলে বদি আলম (২৩), আমিন হোসেনের ছেলেএনামুল হাছান (২০), হাফেজ আহমদ এর ছেলে নূর মোহাম্মদ (২২), মাহমুদ হোসেনের ছেলে মোঃ রফিক (২১),সৈয়দ আহমদের ছেলে সাদেক (২২)।
র্যাব-১৫ কক্সবাজারের অধিনায়ক খায়রুল ইসলাম সরকার আরও জানান, সীমান্তে হুন্ডির টাকায় ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশের জলসীমানা হয়ে হাত বদল হতে পারে। এখবরে মৌসুমে প্রতিকূল আবহাওয়ায় উত্তাল সমুদ্রের ভয়াবহতা উপেক্ষা করে র্যাবের আভিযানিক দলের সদস্যরা ছদ্মবেশে গভীর সমুদ্রে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করে এবং এক পর্যায়ে ইয়াবার চালান হস্তান্তর করার সময় হাতেনাতে পুরো চক্রটিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত আলামত ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১৫ কক্সবাজারের অধিনায়ক খায়রুল ইসলাম সরকার আরও জানান, সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা ও মাদক চোরাচালান বেড়েছে। বিশেষ করে হুন্ডির টাকা লেনদেনের মাধ্যমে এসব ইয়াবা চোরাচালান হচ্ছে। এই সিন্ডিকেট একজন প্রভাবশালী সদস্য টেকনাফ পৌরসভার দক্ষিণ জালিয়াপাড়া এলাকার ওসমান গনি ছেলে জিয়াবুল হোসেন। গ্রেপ্তারকৃত জিয়াবুল হোসেন একটি হুন্ডি কারবারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের স্থল ও জল সীমান্তে বেড়েছে ইয়াবা ও মাদকের চোরাচালান। অবাধে চোরাচালান বাংলাদেশের প্রবেশ করায় র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রতিদিন কোন না কোন ইয়াবার চালান ধরা পড়ছে। সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর নজরধারি বাড়ানোর দাবি স্থানীয় সচেতন মহলের।
ভয়েস/আআ