শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

সুপার সাইক্লোন হতে পারে মোখা

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ দেখানো হচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল (কক্সবাজার-টেকনাফ) হয়ে মিয়ানমার উপকূলের দিকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে আজ সকাল ৬টায় একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোখায় পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশিচম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান গতকাল বলেছেন, আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০-২২০ কিলোমিটার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যা সুপার সাইক্লোনের পর্যায়ে পড়ে।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, ঝড়টি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪০ থেকে ১৫৫ কিলোমিটার বেগে যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে তা ১৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক অ্যান্ড মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের (নোয়ামি) নির্বাহী পরিচালক ড. মোহন কুমার দাশ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘একটি ঝড় যত বেশি সময় সাগরে অবস্থান করবে ততবেশি শক্তি সঞ্চয় করে। তাই বেশি সময় সাগরে অবস্থান নিলে ঝড়টি শক্তিশালী হয়ে আঘাত করবে।’

তবে শক্তিমত্তা নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ প্রায় দেড়শ কিলোমিটার হলেও এর প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের ক্ষেত্রে একটু সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে উপকূল।’

সুবিধাজনক কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অমাবস্যা বা পূর্ণিমা পাচ্ছে না ঝড়টি। অমাবস্যা বা পূর্ণিমার সঙ্গে ঝড় যুক্ত হলে জোয়ারের উচ্চতা বহুগুণে বেড়ে যায়। অপরদিকে এটি উপকূলে আঘাতের সময় যদি জোয়ার পায় তাহলে হয়তো জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা কিছুটা বাড়তে পারে। তাই এটা নিয়ে এখনই চূড়ান্তভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

বর্ষা মৌসুমের আগে (এপ্রিল-মে) এবং বর্ষার শেষে (অক্টোবর-নভেম্বর) মূলত দেশে ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে। এই সময়ের ঝড়গুলোই বেশি শক্তিশালী ঝড় হিসেবে আঘাত করে। তবে এর মধ্যে মে মাসেই সবচেয়ে বেশি ঝড় হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে নোয়ামির নির্বাহী পরিচালক ড. মোহন কুমার দাশ বলেন, ‘ভারত মহাসাগরে সৃষ্টি হওয়া ১৩৩ বছরের ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে বর্ষা মৌসুমের আগে মে মাসেই শক্তিশালী ঝড়গুলো সৃষ্টি হয়।’

একই মন্তব্য করেন আবহাওয়াবিদ কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মে মাস ও মৌসুমের শেষে নভেম্বরে মূলত শক্তিশালী ঝড়গুলো সৃষ্টি হয়ে থাকে।’

এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নামটি ইয়ামেনের দেওয়া। ‘মোকা’ বা ‘আল-মোখা’ ইয়েমেনের লোহিত সাগর উপকূলের একটি বন্দর শহরের নাম। মোখার পরে ভারত মহাসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় হবে সেটির নাম হবে ‘বিপর্যয়’। এই নামটি অবশ্য বাংলাদেশের দেওয়া।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION