মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৮ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

সোনাইছড়িতে দেবরের কামড়ে রক্তাক্ত ভাবির মুখমণ্ডল

ভয়েস প্রতিবেদক:
উখিয়ার সোনাইছড়িতে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে কামড়িয়ে ভাবির মুখমণ্ডলের মাংস তুলে নিয়েছে দেবর। রক্তাক্ত গুরুতর আহত অবস্থায় ভাবিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৯ টারদিকে কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের দক্ষিন-পশ্চিম সোনাইছড়ি (গাবতলী) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় ইব্রাহীমের ছেলে আবদুল হামিদের স্ত্রী নুর নাহার (২৬) কে আপন দেবর আব্দুর রহমান স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। পৃথক সংসারে বসবাস করা দেবর আব্দুর রহমানের এই প্রস্তাবে ভাবি নুর নাহার রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়প ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে দেবর।  এরই অংশ হিসেবে গত সোমবার (১০ অক্টোবর) বনবিভাগের জমির ওপর পায়ে হাঁটার পথে চলাচলের ওপর বাধা সৃষ্টি করে। এর প্রতিবাদ করলে ভাবীর উপর চড়াও হয় দেবর। এক পর্যায়ে রোহিঙ্গা নুর হোসেনের ছেলে নবী হোসেনের সহযোগিতায় দেবর আব্দুর রহমান ভাবি নুর নাহারকে মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় দস্তাদস্তির এক পর্যায়ে ভাবির মুখে কামড় দিয়ে মুখের মাংস তুলে নেয়। এতে মুখ ও পুরো শরীর রক্তাক্ত হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ভাবির আত্মচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভাবি নুর নাহারের স্বামী আব্দুল হামিদ জানান, বাবা-ভাইয়ের পৃথক সংসার তার। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম সোনাইছড়ি (গাবতলী) এলাকায় বনভূমির উপর বসবাস করে আসছিলেন। পাশে আপন ভাই আব্দুর রহমানের বসতবাড়ি। দীর্ঘদিন ধরে তার অজান্তে স্ত্রী নুর নাহারকে নানাভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করে আসছিল। এতে আমার স্ত্রী তার প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় বনভূমির উপর দিয়ে চলাচল করা পথ বন্ধ করে দেয়। গত সোমবার আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমার স্ত্রীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। গালে এবং মুখে কামড়িয়ে সারা শরীর আহত করে। তাকে সহযোগিতা করেন স্থানীয় রোহিঙ্গা নাগরিক নূর হোসেনের ছেলে নবী হোসেন। বর্তমানে আমার স্ত্রী কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION