শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন
ধর্ম ডেস্ক:
এক সপ্তাহ হয়ে গেল আলী ইবনে আবু তালেব রাজিয়াল্লাহু আনহুর বাড়িতে কোনো মেহমান আসছেন না! অতিথি আপ্যায়ন করবেন, সেই সুযোগটা তিনি পাচ্ছেন না।
আমার-আপনার বাসায় মেহমান আসলে কি আমরা সেটাকে ঝামেলা, বিড়ম্বনা মনে করি? ‘নিজেই ঠিকমতো খাইতে পারছি না, তার ওপর মেহমান আসছে’ এমনটা মনে করি।
প্রিয় নবীর সাহাবিরা কিন্তু তেমনটা ভাবতেন না।
হজরত আলী রাজিয়াল্লাহু আনহুর বাড়িতে মাত্র ১ সপ্তাহ কোনো মেহমান না আসার কারণে তিনি কী ভাবেন জানেন?
তিনি ভাবেন, না জানি দয়াময় আল্লাহ তার ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন, এ জন্য তার বাড়িতে কোনো মেহমান আসছে না!
আমার-আপনার বাড়িতে মেহমান আসাকে স্বাগত জানান। মেহমানকে আপ্যায়ন করুন। নিজে দুদিন কম খাই। এগুলোর ফলে আপনার জীবনে, সম্পদে বরকত বাড়ে। সাহাবি-অলি-আউলিয়াদের জীবনী পড়লে দেখবেন, তারা চাতক পাখির মতো মেহমানের অপেক্ষা করতেন!
কল্যাণমূলক পরামর্শ দেওয়া
জীবন চলার পথে সুখে-দুঃখে ও বিভিন্ন প্রয়োজনে একে-অন্যের দ্বারস্থ হতে হয়। অনেক সময় পরামর্শেরও প্রয়োজন হয়। দেখা যায়, সময়মতো সুন্দর একটি পরামর্শের দাম লাখ টাকার চেয়েও বেশি। তেমনি একটি ভুল পরামর্শ ডেকে আনতে পারে বিরাট ক্ষতি। কাজেই পরামর্শদাতাকে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিতে হবে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার ভাইকে কোনো বিষয়ে পরামর্শ দিল, অথচ সে জানে কল্যাণ এর বিপরীতে, তবে সে তার সঙ্গে খেয়ানত করল।’ -সুনানে আবু দাউদ : ৩৬৫৭
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) নবীজী (সা.) থেকে আরেকটি হাদিস বর্ণনা করেন, ‘যার কাছে কোনো বিষয়ে পরামর্শ চাওয়া হয় সে আমানতদার।’ -জামে তিরমিজি : ২৩৬৯
বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার হজরত মাওলানা মনযুর নুমানি (রহ.) বলেন, যার কাছে পরামর্শ চাওয়া হয় পরামর্শ গ্রহণকারী তাকে নির্ভরযোগ্য মনে করেই তো তার কাছে যায়। নিজের একটি আমানত তার কাছে সোপর্দ করে। অতএব তার উচিত, আমানতের হক আদায়ে ত্রুটি না করা। অর্থাৎ ভালোভাবে চিন্তা-ভাবনা করেই তাকে কল্যাণমূলক পরামর্শ দেওয়া এবং বিষয়টির গোপনীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা করা। অন্যথায় সে এক ধরনের খেয়ানতের অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হবে। -মাআরিফুল হাদিস : ২/১৫১
ভয়েস/আআ