আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা বাড়াতে অক্টোবরের ২২ তারিখ এক ভার্চুয়াল আন্তর্জাতিক দাতা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। খবর রয়টার্স। ওই ভার্চুয়াল দাতা সম্মেলনে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) আয়োজকদের তরফ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরে জাতিসংঘ ১০০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার আবেদন জানিয়েছিল, মহামারির কারণে তার অর্ধেকেরও কম সহায়তা তহবিলে জমা হয়েছে।কিন্তু, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে সংকটাপন্ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশা আরও বেড়েছে।
এদিকে ওই যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এবং বাইরে বিভিন্ন দেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তা তহবিল সংগ্রহই এ দাতা সম্মেলনের লক্ষ্য।
এ ব্যাপারে ব্রিটিশ মন্ত্রী ডমিনিক রাব এক বিবৃতিতে বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ভয়াবহ বর্বরতার শিকার হয়েছে, অকল্পনীয় পরিস্থিতির মধ্যে তারা নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকেই যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ভূমিকা রেখে আসছে। বিশ্বকে এখন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর এই দুর্দশার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। তাদের জীবন বাঁচাতে একযোগে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে সেনাবাহিনীর দমনাভিযানের মুখে জীবন নিয়ে সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় পালিয়ে আসে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলায় স্থাপিত ৩২ অস্থায়ী ক্যাম্পে তারা মানবেতর জীবন যাপন করেছে।এরইমধ্যে, কয়েকদফা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও মিয়ানমারের সদিচ্ছার অভাবে তা আলোর মুখ দেখেনি।
পাশাপাশি, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন স্বাধীন তদন্ত শেষে প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী গণহত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধন করেছে। একইসঙ্গে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লুন্ঠন, জমি দখল এবং রোহিঙ্গা নারীদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালানোর প্রমাণও মিলেছে।তবে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সম্প্রতি, ভারতের সেনাপ্রধান এম এম নার্ভানে এবং পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা মিয়ানমার সফরকালে দেশটিতে নভেমবরে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনের আগে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কিছু অংশকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের পক্ষ থেকে এই ধরনের প্রস্তাব পাওয়ার পর মিয়ানমার হয়তো রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে তাদের নীতিতে কিছুটা নমনীয় হবে। সেক্ষেত্রে, সীমিত পরিসরে প্রত্যাবাসনও শুরু হতে পারে - বলে জানিয়েছেন তারা।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.