ভয়েস ডেস্ক:
কথায় আছে, ‘ব্যবহারেই বংশের পরিচয়’। নিজের ব্যক্তিত্বের প্রকাশও ঘটে ব্যবহারের মাধ্যমেই। ছোট কিংবা বড়— কার প্রতি আপনার আচরণ তাতেই পরিমাপ করা যায়, আপনি মানুষটি কেমন? অফিসও এর বাইরে নয়। সহকর্মীদের প্রতি কেমন আচরণ করবেন, সেই আদবকেতা জানাটা খুব জরুরি।
১. প্রথমেই কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে দেখা হলে কুশল বিনিময় করে নিতে পারেন। এটা নিতান্তই সুলভ আচরণ।
২. সহকর্মীর সঙ্গে কাজের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে পারেন। এতে কাজের পরিধি বাড়াতে এবং কাজের পরিবেশকেও ভালো রাখে।
৩. সহকর্মীর সঙ্গে বা অফিসে কোনো মিটিংয়ে কখনোই হাতের ব্যাগ কোলের ওপর বা টেবিলের ওপর রাখবেন না। ব্যাগ পায়ের কাছে রাখাটাই ভদ্রতা।
৪. সহকর্মীর সামনে কাশি, হাঁচি আসতেই পারে। অবশ্যই মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেবেন। এ সময় মুখে হাত বা রুমাল দেওয়াটাও বাধ্যতামূলক।
৫. সহকর্মীর সঙ্গে কিছু খাচ্ছেন, খেয়াল রাখুন যেন শব্দ না হয়। অনেকে খাওয়ার সময় শব্দ করে খান। চা এর চুমুক দিতেও শব্দ হতে পারে। এ বিষয়ে নজর দিন। যেন অন্যের বিরক্তির কারণ না হয়।
৬. অফিসের পরিবেশে জোরে কথা না বলাই ভালো। অন্য সহকর্মীরা বিরক্ত হতে পারেন। প্রয়োজনীয় কথা থাকলে তা ধীরেই সেরে ফেলুন।
৭. সহকর্মীদের মনে কষ্ট হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন। কাজের ক্ষেত্রে সহকর্মীদের মনে কষ্ট দেওয়ার মতো কিছু করলে নিজেই সরি বলুন এবং বিষয়টি একান্তে মিটিয়ে নিন।
৮. নিজের চেয়ে বড় কিংবা ছোট সব সহকর্মীদের প্রতি সহনশীল আচরণ রাখুন। কেউ কিছু বলতে চাইলে তা মন দিয়ে শুনুন। এরপর নিজের স্থানটাও হাসিমুখে তাকে উপস্থাপন করতে পারেন।
৯. কাজের চাপে অনেক সময় মানসিক চাপও বেড়ে যায়। এ সময় সহকর্মীর সঙ্গে অনেকে উত্তেজিত হয়ে কথাও বলে ফেলেন। এ বিষয়ে খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে খানিকটা সময় নিয়ে একটু স্বাভাবিক হোন। এরপর সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলুন।
১০. সহকর্মীর ভুলগুলো একান্তে তাকে জানিয়ে দিন। অন্যদের সামনে ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে সহকর্মী মানসিকভাবে ইতস্ততা বোধ করতে পারেন।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.