জীবনযাপন ডেস্ক:
ক্রমবর্ধমান নগরায়নের প্রভাবে শহরগুলোতে দিন দিন কমে যাচ্ছে মাটির অস্তিত্ব। তবে প্রকৃতি প্রেমিরাও কিন্তু বসে নেই। নিজেদের প্রচেষ্টায় ছাদে, বারান্দায় কিংবা উঠানে ছোট্ট ছোট্ট বাগান গড়ে তুলেছে। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য না থাকলেও পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে একটু হলেও এই ক্ষুদ্র প্রয়াস কাজে দিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ভাবে বাগান করছেন জামান সাহেব। তার মতে, ঘরোয়াভাবে বাগান করলে এর পরিচর্যা একটু বেশি নিতে হয়। কারণ বাগানের সৌন্দর্যকেও মাথায় রেখে সব ব্যবস্থা করতে বাড়তি পরিচর্যা প্রয়োজন। যা করতে হবে সঠিক পদ্ধতি মেনে।
● গাছে পর্যাপ্ত সার ও কিটনাশক দিন। তবে ফুল গাছে অল্প সার প্রয়োগ করতে হবে। চারা রোপণের ১৫- ২০ দিন পর সার প্রয়োগ করুন। গাছে ফল ধরার আগে বা ফুল আসলে আরও একবার সার প্রয়োগ করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তার এবং ফল ও সবজির পুষ্টিগুণ রক্ষায় জৈব সার বা কেঁচো সার ব্যবহার করতে পারেন।
● গাছ বড় হলে ছাঁটাই করুন। শীতের সময়টাতে গাছ ছাটাইয়ের তেমন প্রয়োজন নেই। তবে আগাছা পরিষ্কারের দিকে নিয়মিত খেয়াল রাখা দরকার।
● গাছে সকালে ও বিকেলে সেচ দিন। এসময় সূর্যের আলো কিছুটা কম থাকে। তাই অতিরিক্ত পানি অপসারণের জন্য ব্যবস্থা রাখুন। মাটি আর্দ্রতা ধরে রাখতে শুকনো পাতা, খড় বা কাঠের গুড়ো ছরিয়ে দিতে পারেন।
● মাটিতে ছত্রাকের আক্রমণ বেশি হয়। কাজেই ছত্রাকরোধী কীটনাশক গাছের পাতা, গোড়ায় ছিটিয়ে দিন।
● গাছে পচন রোগ দেখা দিলে ক্ষতিগ্রস্থ অংশটি কেটে ফেলুন। প্রয়োজনে পুরো গাছ তুলে ফেলুন।
● শীতের সময়টাতে সূর্যের আলোর আধিক্য এবং কুয়াশার কারনে গাছের সালোকসংশ্লেষণ কম হতে পারে। এক্ষেত্রে সম্ভব হলে গরম লাইটের ব্যবহার করা যেতে পারে।
● সবজি ও ফল গাছের ফল যখন ৯০ ভাগ পরিপূর্ণ হবে, তখন তুলে ফেলা ভালো।
আপনার পরিশ্রম ও ভালবাসায় শখের বাগানটি যখন ফুলে ফলে ভরে উঠবে তখন কতই না ভালো লাগবে। আপনার শখের বাগান সুস্থসবল রাখতে ও কাঙ্খিত ফল পেতে যত্নবান হন। তাহলেই আপনার পরিশ্রম সার্থক হবে।
ভয়েস/ জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.