ভয়েস লাইফস্টাইল ডেস্ক:
তিয়াসের বয়স সাত। ছেলেবেলা থেকেই ও একদম মাঘেঁষা। বাবা পলাশ নামকরা অফিসের উচ্চ পদে কর্মরত। মাঝে মাঝেই অফিসের কাজে তাকে ঢাকার বাইরেও যেতে হয়। তিয়াস বাবাকে সেভাবে পায় না। তাই হয়তো তিয়াসের সঙ্গে বাবার সে রকম বন্ধুত্ব গড়ে ওঠেনি। পলাশ নিজেও বুঝতে পারে না এই অসম্পূর্ণতা কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন!
সন্তানের ভালো বন্ধু হয়ে ওঠার প্রথম ধাপই হচ্ছে সময় এবং যোগাযোগ। শুধু সময় দিলেই হবে না, আপনি যে ওর সঙ্গে সময় কাটাতে আগ্রহী, তা যেন ও বুঝতে পারে।
কোনো কারণ ছাড়াই সন্তানের বন্ধুদের নিয়ে বাসায় ছোট্ট পার্টির আয়োজন করতে পারেন।
ছুটির দিনে পরিবারের সবাই মিলে বাইরে বেড়াতে গেলে, সন্তান খুব কাছ থেকে সেদিন আপনাকে পাবে।
সন্তানের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে গল্প করুন। বাসার বাইরে থাকলেও দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে ফোন করে ওর সঙ্গে গল্প করার চেষ্টা করুন।
যেটুকু সময় একসঙ্গে কাটাবেন তা যেন শুধু পড়াশোনা এবং রেজাল্টকেন্দ্রিক আলোচনায় সীমাবদ্ধ না থাকে, তা খেয়াল রাখুন।
নানা বিষয়ে আলাপ করলে সন্তানের মনোজগতে কী ঘটছে, তা আপনি বুঝতে পারবেন।
সন্তান টিনএজ হলে বড়দের বিষয় নিয়েও আলোচনা করুন। বন্ধুদের কাছ থেকে ভুল তথ্য পাওয়ার চেয়ে আপনার মুখে সঠিক তথ্য পেলে, সেটাই ওর কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে।
সন্তানের বন্ধু হয়ে উঠেছেন বলে শাসনপর্ব বাদ দেবেন, তা নয়। শাসন অবশ্যই করবেন, তবে তাতে যেন যুক্তি থাকে।
কোনো কাজ পছন্দ না হলে প্রথমেই বকা-ঝকা করবেন না। বুঝিয়ে বলুন কেন কাজটা আপনার ভালো লাগেনি।
শিশুরা বড়দের দেখেও অন্যায় কাজ করতে শেখে, তাই নিজেরা সংযত থাকুন। আপনি যে আপনার সন্তানের রোল মডেল, এটা ভুলে যাবেন না।
ভয়েস/ জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.