মো: ফারুক, পেকুয়া:
পেকুয়ায় যৌতুক দাবী ও যৌতুক আদায় করার পরও স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ এনে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছেন।উপজেলার টৈটং ইউপির হাজীর মোড়া এলাকার আওরঙ্গজেবের মেয়ে সানজিদা শারমিন বাদী হয়ে বারবাকিয়া ইউপির বারাইয়্যাকাটা এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল কক্সবাজারে মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযোগে সানজিদা দাবী করেন, গত বছরের ৩০ অক্টোবর মহিউদ্দিনের সাথে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন সংসার সুন্দর মত চললেও একপর্যায়ে যৌতুক দাবী করে মারধর শুরু করেন। বিয়ের সময় ২ ভরি স্বর্ণ ও ২লাখ টাকা যৌতুক দিলেও তা অগ্রাহ্য করে মারধরের মাত্রা বাড়িয়ে দিলে স্বর্ণ ও আসবাবপত্র বিক্রি করে দেন। এবিষয়ে বাদীর পরিবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শালিস দিলে কোন প্রকার নির্যাতন করবে না আর স্বর্ণ ও আসবাবপত্র ফেরত দেয়ার অঙ্গিকার করেন। সর্বশেষ গত ২৮ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে মামলার বিবাদী মহিউদ্দিন আবারো ১লাখ টাকা যৌতুক দাবী করলে তা না দেয়ায় বাদীকে মারধর করে আহত করে। এরপর বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২৭৪/২০।
ভুক্তভোগী সানজিদা শারমিন বলেন, এদিকে মামলাটি বিজ্ঞ আদালত থেকে পেকুয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জাকের হোসেনকে দায়িত্ব অর্পণ করেন। বিবাদী মহিউদ্দিন টাকার বিনিময়ে প্রতিবেদনটি মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জানতে পেরেছি তিনি টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ হয়ে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, মামলা করার পর থেকে মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি ইসলামি শরিয়া মোতাবেক আমাকে বিয়ে করলেও এখন প্রতারণার আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করতেছে। এমনকি মিথ্যা অভিযোগ করে নিরহ আজিজ নামে আমার এক আত্মীয়কে ঘটনায় জড়ানোর চেষ্টা করতেছে। অথচ তাকেই বিয়ের সাক্ষীর জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন আমার স্বামী মহিউদ্দিন।
তিনি বড় মাপের একজন প্রতারক। বিয়ের আগে জানতে পারি নাই। বিভিন্ন মেয়েদেরকে বিয়ের নাম করে যৌতুক নিয়ে সরে পড়ে। এছাড়াও স্ত্রী ও সন্তান রেখে তথ্য গোপন করে আমার সাথে লম্পটগিরি করেছে আমার সাথে। সর্বশেষ আমি মামলা করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে একটি তালাকনামা পাঠায়। তালাকনামা পাঠিয়ে সেই দেনমোহর না দেয়ার জন্য চক্রান্ত শুরু করেছে। বিষয়টি আমরা বিজ্ঞ আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে অবগত করবো।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.