ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্যে দক্ষিণ এশিয়া এখনও বিশ্বের দুর্বলতম অঞ্চল। এই অঞ্চলে দেখা যায় পাশের দেশের সঙ্গে ব্যবসা করার খরচ বেশি, কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে কম। ভঙ্গুর যোগাযোগ ব্যবস্থা, কাস্টমস ও বন্দর সমস্যা, লোডিং-আনলোডিং নিয়ে ঝামেলা, সময়ক্ষেপণ; এসব কারণেই খরচ বাড়ে। আর তাই এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক যোগাযোগ করছে সরকার। মার্চে পাঁচটি দেশের সরকারপ্রধানের ঢাকা সফরের সময় তাদের সঙ্গে কানেকটিভিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মত হচ্ছে, বাণিজ্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত না হলে কানেকটিভিটির সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়া যাবে না।
সাবেক অর্থ উপদেষ্টা মির্জা আজিজ বলেন, ‘কনেকটিভিটির দুটি মাত্রা। প্রথমটা হলো ভৌত। এর মধ্যে আছে রেলওয়ে, নদীপথ ও সড়কপথ। এগুলোর উন্নতির মাধ্যমেও কানেকটিভিটি বাড়ানো যায়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে নমনীয় মাত্রা। এরমধ্যে সীমান্তে বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান এবং অন্যান্য অভৌত বিষয় রয়েছে।’
কানেকটিভিটির উদ্দেশ্য হচ্ছে আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি। এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে ভৌত কানেকটিভিটি জরুরি। তবে এটাই যথেষ্ট নয়।’
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (সাফটা) হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য সুবিধা না থাকার কারণে বাণিজ্য বাড়ছে না।
সাফটায় যেসব পণ্য বাজার সুবিধার আওতায় রয়েছে সেগুলোর বাণিজ্যে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। এর মধ্যে আছে রুলস অফ অরিজিন, পণ্যের মান বা কাস্টমস জটিলতা। এ সব দূর না করে ভৌত কানেকটিভিটি বাড়িয়েও কাজ হবে না বলে জানান সাবেক অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু কানেকটিভিটির জন্য ভৌত অবকাঠামো ও অন্যান্য সুবিধা যদি থাকে তবে আন্তঃআঞ্চলিক বিনিয়োগও বাড়বে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ফেলো মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য হয় সড়ক বা রেলপথে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ হয় সড়কপথে। কিন্তু পাশের আরেকটি দেশ যেমন নেপালে কোনও পণ্য পাঠানোর খরচ ব্রাজিলে পাঠানোর চেয়েও বেশি।’
সীমান্তে কাস্টমস জটিলতা, লোডিং ও আনলোডিং, লম্বা লাইন, ডকুমেন্টেশন, দীর্ঘ সময় এবং অন্যান্য সমস্যার কারণে খরচ বাড়লেও প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমে। এর ফলে ভোক্তা, দেশীয় উদ্যোক্তা- যারা কাঁচামাল আমদানি কিংবা পণ্য রফতানি করছেন, তাদের খরচটা বেড়ে যায় বলে তিনি জানান।
তার মতে, মাল্টি-মোডাল ব্যবস্থায় এ সমস্যা দূর করা যায়। কাস্টমস বন্দরগুলোতে সমন্বিত (ইন্টিগ্রেটেডে) চেকপোস্ট, সিঙ্গেল উইন্ডো ও আঞ্চলিক মোটর ভেহিক্যাল চুক্তি বাস্তবায়ন করে সব জায়গায় গাড়ি যাতায়াতের সুযোগ করে দিলেও খরচ অনেকটা কমে আসবে বলে তিনি জানান।
তবে তিনি বলেন, এই ট্রান্সপোর্ট করিডোরগুলোকে অর্থনৈতিক করিডোর বানাতে হবে। ট্রান্সপোর্ট করিডোরগুলো বাস্তবায়ন হলে খরচ কমানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। সূত্র:বাংলাট্রিবিউন।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.