ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।মঙ্গলবার সকালে নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) সন্তোষ কুমার চাকমাসহ ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের একটি টিম বিভিন্ন বিষয়ে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, তিনি (বাবুল আক্তার) আগেও এসেছিলেন। আজকেও (মঙ্গলবার) পিবিআইতে গেছেন। মামলার বাদী হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, উনি (বাবুল আক্তার) মামলার বাদী। আমরা যেহেতু মামলা তদন্ত করছি, উনি অগ্রগতি জানতে আমাদের কাছে এসেছিলেন।
একটি সূত্র জানায়, পিবিআইয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে সোমবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছান।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। এ ঘটনায় তার স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আটক হন এহেতশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মো. মনির। গ্রেপ্তার আনোয়ার ও মোতালেব মিতু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে এ হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত মুছার নাম আসে।
জবানবন্দিতে মোতালেব বলেন, নবী, কালু, মুছা ও তিনি সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন এবং নবী ও কালু মিতুকে ছুরিকাঘাত করে।
মিতুর বাবা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোশারফ হোসেন এ হত্যায় বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলেন। ২০১৭ সালের ২৪ জুন রাতে বাবুল আক্তারকে ঢাকার বনশ্রীর শ্বশুরবাড়ি থেকে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রসঙ্গত, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল সরবরাহের অভিযোগে ১ জুলাই মুছার ভাই সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর ৫ জুলাই ভোরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ঠান্ডাছড়িতে নুরুল ইসলাম রাশেদ ও নবী পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। একপর্যায়ে ৬ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই বছরের ১ নভেম্বর ঢাকার বেসরকারি আদ-দ্বীন হাসপাতালে সহযোগী পরিচালক হিসেবে বাবুল আক্তার যোগদান করেন।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। এর আগে সেটি সিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করেছিল।
ভয়েস/আআ/সূত্র:দেশরূপান্তর
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.