জিকির উল্লাহ জিকু:
ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ও পুর্নিমা জোয়ারের তান্ডবে কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকায় ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার কুতুবদিয়া উপজেলা, সেন্টমার্টিন্স দ্বীপ , কক্সবাজার শহরতলি, সদর উপজেলার গোমাতলী ইসলামপুর পেকুয়া উপজেলার মগনামা মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা এলাকায় সর্বোচ্চ পাঁচ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়ে ৪৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত ও নষ্ট হয়েছে পাঁচ শতাধিক। বিশেষ করে কুতুবদিয়া ও সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।
কুতুবদিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরের জামান জানান ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও পুর্নিমা জোয়ারে কুতুবদিয়া দ্বীপের কয়েকটি ইউনিয়নের ২৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাড়ি ঘরের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দ্বীপের বেরিবাধ ভেংগে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। বেরিবাধের বাইরে থাকা বাড়ি ঘর জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত হয়েছে। দ্বীপের ৮ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ জানিয়েছেন জোয়ারের তান্ডবে দ্বীপের জেটিঘাট বিধ্বস্ত হয়েছে। জোয়ারের পানি উপচে পড়ে দ্বীপের ৫০ টি বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত ও নষ্ট হয়েছে। পুর্নিমা জোয়ারের আঘাতে দ্বীপের চারিদিকে ব্যপক ভাংগনের সৃষ্টি হয়েছে। সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের ১৫ টি পর্যটন রিসোর্ট ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার শহরতলীর সমিতি পাড়া সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট সহ ১০টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সদর উপজেলার গোমাতলী ইসলামপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবীদ আব্দুর রহমান জানিয়েছেন ঘুর্ণিঝড় ইয়াস ও পুর্নিমা জোয়ারের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ঘূর্নিঝড়ের প্রভাব বিকেল থেকে কেটে যাবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিন আল পারভেজ জানান ঘূর্নিঝড় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত এখনো পাওয়া যায়নি। তবে পুর্নিমা থাকায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারের উপকুল এলাকায় পানিতে প্লাবিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.