লাইফস্টাইল ডেস্ক:
হতাশার সঙ্গে জীবন কাটানো বেশ কঠিন। হাল ছেড়ে না দিয়ে যেকোনও পরিস্থিতিতে আরও আত্মবিশ্বাসী হওয়ারই পরামর্শ দেন মনোবিজ্ঞানিরা। সঠিক চিকিৎসা আর নিয়মিত পরামর্শ এই হতাশা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে। তাই হতাশার সম্ভাব্য বিষয়গুলো সম্পর্কে মনো চিকিতসকের সঙ্গে কথা বলুন।
কিছু চিকিত্সা এবং জীবনযাপনের কিছু নিয়ম মেনে চললে হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ। সাধারণ কিছু বিষয়ে নজর রাখুন, মেনে চলুন। যা আপনাকে হতাশা থেকে মুক্তি দিবে।
অনুশীলন
সপ্তাহের অন্তত ৩ থেকে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে শরীরচর্চা করুন। অনুশীলন আপনার দেহের হরমোনের এন্ডোরফিনগুলোর উত্পাদন বাড়িয়ে দিতে পারে। যা আপনার মেজাজ উন্নত করে। নিয়মিত হাটুন। বাইরে হাটতে গেলে অন্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। যা হতাশা থেকে আপনাকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে।
অ্যালকোহল বা ড্রাগ এড়িয়ে চলুন
ওষুধ খাবেন প্রয়োজনে। ওষুধের অপব্যবহার করলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে ওষুধ সেবনে কিংবা অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। এর একটি প্রতিক্রিয়ায় হতাশা দেখা দেয়। হতাশা এবং উদ্বেগের লক্ষণগুলোকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। এছাড়া অ্যালকোহলও হতাশায় ডুবিয়ে রাখবে আপনাকে। এর থেকে বিরত থাকুন।
কীভাবে বলতে হয় তা শিখুন
অনুভূতি প্রকাশ না করতে পারা আপনার মানসিক উদ্বেগ এবং হতাশার লক্ষণগুলোকে আরও খারাপ করতে পারে। পেশাদার এবং ব্যক্তিগত জীবনে সীমানা নির্ধারণ করুন। যা আপনাকে আরও ভালো বোধ করতে সহায়তা করবে।
সাইকোথেরাপি
থেরাপিস্টের সঙ্গে কথা বলুন। আপনাকে নেতিবাচক অনুভূতিগুলোর সাথে লড়াইয়ে দক্ষতা বাড়াবে। আপনি পরিবার বা গ্রুপ থেরাপি সেশনগুলো থেকেও উপকৃত হতে পারেন।
বিকল্প চিকিৎসা
আকুপাংচার বা ধ্যান সম্পর্কে আপনার চিকিতসকের পরামর্শ নিন। কিছু ভেষজ পরিপূরক, সেন্ট জনস ওয়ার্ট, স্যাম এবং ফিশ অয়েল হতাশার থেকে মুক্তি দিবে। তবে প্রেসক্রিপশন ওষুধের সঙ্গে পরিপূরকের সংমিশ্রণের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। কারণ কিছু পরিপূরক নির্দিষ্ট ওষুধের সাথে মিলে কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কিছু পরিপূরকগুলো হতাশার প্রবনতাকে আরও খারাপ করতে পারে।
নিজের যত্ন নিন
নিজের যত্ন নিলে হতাশার লক্ষণগুলো কমে আসবে। নিয়মিত রুটিন করে ঘুমানো, স্বাস্থ্যকর ডায়েট খাওয়া, নেতিবাচক লোকদের এড়িয়ে চলা এবং উপভোগ্য ক্রিয়াকলাপে অংশ নেওয়াসহ সব সময় পজিটিভ মানসিকতা আপনাকে হতাশা থেকে মুক্তি দিবে।
ফ্যাটি অ্যাসিড
স্নায়বিক বিকাশ এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ফ্যাটি অ্যাসিড গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ডায়েটে ওমেগা -৩ যুক্ত খাবার যোগ করুন। এতে হতাশার লক্ষণগুলো হ্রাস করতে সহায়তা করে।
ভিটামিন খাবেন
ভিটামিন শারীরিক কার্যক্রমে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, ভিটামিন বি ও ভিটামিন ডি হতাশার লক্ষণগুলো কমাতে কার্যকর। ভিটামিন বি-১২ এবং বি-৬ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক। যখন ভিটামিন বি-এর মাত্রা কম থাকে তখন হতাশা বৃদ্ধির ঝুঁকি বেশি থাকে। এছাড়াও ভিটামিন ডি মস্তিষ্ক, হার্ট এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। হতাশাগ্রস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে এই ভিটামিনের মাত্রা কম থাকে। রোদ থেকে নিয়মিত এই ভিটামিন নিতে পারেন।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.