বার্তা পরিবেশক:
সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে রিপোর্টার্স ইউনিটি মহেশখালী শাখা নামক আইডিতে প্রচারিত "বড়মহেশখালীতে আওয়ামী লীগ নেতা বাঁশির নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি অবমাননা " শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রচারিত উক্ত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত ২৭/৬/২০২১ ইং তারিখে গভীর রাতে বড়মহেশখালী নতুন বাজারের প্রধান সড়কের ফুটপাত দখল করে দোকান নির্মাণ করতে গিয়ে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা আনোয়ার চৌধুরীর একটি দলীয় বিলবোর্ড জামাত-বিএনপির কর্মীদের সাথে নিয়ে টেনে ছিঁড়ে নর্দমায় ফেলে দেয়। এব্যাপারে আমার বক্তব্য হলো যে, আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোনো ফুটপাত দখল করিনি। এটি সম্পূর্ণ ভাবে বড়মহেশখালী নতুন বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কবলাকৃত জায়গা। এই জায়গাটি বড়মহেশখালী ইউনিয়নে সাতঘরিয়া পাড়ার হাজ্বী আবুল ছৈয়দ পিতা- মৃত রোশন আলী, আবুল ছৈয়দ পিতা -মৃত বদু মিয়া, আলী রেজা পিতা-মৃত মোশরফ আলী এই তিন ব্যক্তির নামে ফকিরাঘোনা মৌজার বন্দোবস্তি প্রস্তাব নং ৩৪৬/৮১-৮২ সনে উক্ত জমি আদালত কর্তৃক ডিগ্রি প্রাপ্ত হয়। উক্ত তিন জনের নামে M.R.R- ২৭৩ এবং নাম জারি B.S- ৪৮৯ নং চূড়ান্ত লিপি আছে। আরো উল্লেখ্য যে, উক্ত তিন জন যৌথ ভাবে উক্ত জমি গত ১/৪/৮৬ ইং তারিখে ৩৯৩ নং কবলায় আনোয়ার পাশা চৌধুরী পিতা- মৃত শফর আলীকে কবলা দেন। পরে আনোয়ার পাশা চৌধুরী পিতা-মৃত শফর আলী গত ১৪/২/৯১ ইং তারিখে ১৭৯ নং কবলায় উক্ত জমি বড়মহেশখালী নতুন বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদকে কবলা দেন। সেই ১৯৯১ সাল থেকে উক্ত জমি মসজিদের দখলে আছে। আমি বর্তমানে নতুন বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি হিসেবে মসজিদের উক্ত জায়গার উপর একটি পুশের ঘর তৈরি করি। এটা কোন আমার ব্যক্তিগত জায়গা না। এটি সম্পূর্ণ মসজিদের জায়গা। মসজিদের জায়গার উপর মোস্তফা আনোয়ার চৌধুরী ব্যক্তিগত ভাবে একটি বিলবোর্ড টাঙিয়ে রাখে। এটা কোন দলীয় বিলবোর্ড নয়। এখানেও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। যেখানে সেখানে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করে লোক চক্ষুকে ফাঁকি দেওয়া যাবে না। কিছু কুচক্রী মহল মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে মসজিদের জায়গার উপর নির্মিত পুশের ঘরটি ভেঙ্গে দেয়া হয়। মসজিদের জায়গার উপর একটি পুশের ঘর তৈরি করতে গিয়ে স্বাভাবিক ভাবে ওখানকার বিলবোর্ডটিও সরাতে হয়েছে। প্রচারিত উক্ত সংবাদে ২০১৬ সালের নির্বাচনকে টেনে আনা হয়েছে। এইখানে উক্ত নির্বাচনকে টেনে আনার বিষয়টি হাস্যকর। আমার নাম ব্যবহার করে রিপোর্টার্স ইউনিটি মহেশখালী শাখা নামক একটি ফেসবুক আইডিতে যা ইচ্ছে তা লিখে আমার মানহানী করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। আমি ২০১৩ সাল হতে বড়মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন আসছি। দলের জন্য আমি কি করেছি এবং কি করছি তা দলীয় নেতা কর্মীরা ভালো করে জানেন। ব্যাক্তিগত একটি বিলবোর্ডের বিষয়কে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে রিপোর্টার্স ইউনিটি মহেশখালী শাখা মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছেন। প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের প্রতি আমি অনুরোধ করছি যে সঠিক যাচাই-বাছাই করে সংবাদ পরিবেশন করুন। প্রচারিত উক্ত সংবাদে আমার বক্তব্যও নেওয়া উচিত ছিল। মসজিদের জায়গা সংক্রান্ত বিষয় সহ সকল বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক, মহেশখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ শরীফ বাদশা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান এর সুদৃষ্টি কামনা করছি। পাশাপাশি প্রচারিত উক্ত মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী,
আলহাজ্ব সিরাজ মিয়া বাঁশি
সভাপতি
নতুন বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটি
ও
সভাপতি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বড়মহেশখালী ইউনিয়ন শাখা। মহেশখালী, কক্সবাজার।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.